প্রতীকী চিত্র।
বাবা-মা জোর করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। মেয়ের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বাবা-মা-কে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।
ট্যাংরার বাসিন্দা বছর পঁচিশের ওই তরুণীর অভিযোগ, ২০১২ সালে তাঁর বিয়ে হয় পদ্মপুকুর এলাকায়। তার পর সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে ঘটে বিপত্তি। বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। বাবা-মা তাঁকে নিয়ে যান শিয়ালদহ চত্বরের একটি হোটেলে। অভিযোগকারিনী পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই হোটেলে বাবা-মা তাঁকে এমন কিছু খাইয়ে দেন, যার ফলে তিনি বেহুঁশ হয়ে যান। হুঁশ ফিরলে তিনি দেখেন তিনি বিবস্ত্র। এর পর বাবা-মাকে প্রশ্ন করে জানতে পারেন, বেহুঁশ অবস্থায় তাঁকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে। অভিযোগ, গোটাটাই ভিডিয়ো করে রাখেন যুবতীর বাবা।
অভিযোগ, সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে এর পর থেকে বাধ্য করা হয় বিভিন্ন হোটেলে যেতে। তাঁকে যৌনকর্মী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ওই যুবতী পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘‘প্রতিবাদ করলেই বাবা মা এবং আরও কয়েক জন আত্মীয় তাঁকে ভয় দেখান যে, ওই ভিডিয়ো শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।” সেই ভয়ে চুপ করে থাকেন তিনি। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে একই ঘটনা ঘটতে থাকায় স্বামীকে জানান ওই মহিলা।
আরও পড়ুন:বিধবার সন্তান হলে সমাজে একঘরে হবেন, আশঙ্কায় বেপাত্তা হয়েছিলেন গর্ভদাত্রী!
আরও পড়ুন:খুনের আগে রাতভর রিয়া-রমাকে নিয়ে মদ্যপান করেছিলেন সাদ্দাম
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের ওই যুবতী জানিয়েছেন যে, যৌনকর্মী হিসাবে রোজগার করা পুরো টাকাটাই নিতেন তাঁর বাবা-মা। গত বছর নভেম্বর মাসে ট্যাংরা থানায় অভিযোগ জানান ওই যুবতী। এর পর তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সোমবার রাতে অভিযুক্ত বাবা-মা-কে গ্রেফতার করা হয়। দু’জনকেই মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শিয়ালদহ আদালতের সরকারি আইনদজীবী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই মামলায় মোট ১৫ জন অভিযুক্ত। বাকিদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।” তিনি গোটা ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা সমাজে ভুল বার্তা দেবে।”