ফাইল চিত্র।
প্রশাসনের কোনও পদে না-থাকা সত্ত্বেও সরকারি ফলকে প্রয়াত মন্ত্রী তথা মানিকতলার প্রাক্তন বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের নাম থাকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
মানিকতলার কাছে বাগমারি রোডের একাংশের নাম বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীর নামে রাখা হয়েছে। রবিবার ওই রাস্তার নামফলকের উদ্বোধন ছিল। উদ্বোধনের পরে দেখা যায়, তাতে লেখা রয়েছে ‘আহ্বায়ক শ্রেয়া পাণ্ডে’। শ্রেয়া বর্তমানে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের আহ্বায়ক। কিন্তু সরকারি ফলকে শাসকদলের আহ্বায়কের নাম কেন?
বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, শাসকদলের পদাধিকারী কারও নাম এই ধরনের সরকারি ফলকে থাকার কথা নয়। এই ঘটনায় শ্রেয়ার দাবি, ‘‘আমি জানতাম না যে, ফলকে আমার নাম লেখা রয়েছে। ওই ফলকে নাম লেখার ব্যাপারে আমার অনুমতি নেওয়া হয়নি।’’ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘শ্রেয়া পাণ্ডের নামের আগে সমাজসেবীর বদলে ভুলবশত আহ্বায়ক শব্দটা লেখা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে ওটা মুছে দেব।’’
অন্য দিকে, মানিকতলার মুরারিপুকুরে সাধন পাণ্ডের স্মৃতিতে তৈরি একটি জলসত্রের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি রবি পালের অভিযোগ, ‘‘আমরা বরাবরই সাধন পাণ্ডের অনুগামী ছিলাম। ওঁর স্মৃতিতে বসানো জলসত্রটির উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল রবিবার। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্যকিশোর রাউতের মদতে ওই জলসত্রের জলের সংযোগ শনিবার কেটে দেওয়া হয়।’’
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে অনিন্দ্যকিশোর বলেন, ‘‘আমি কিছু করিনি। যত দূর জানি, জলসত্র বসাতে গেলে কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হয়। কিন্তু মুরারিপুকুরে ওই জলসত্র বসানোর আগে পুরসভার সঙ্গে কোনও চুক্তি করা হয়নি। সেই জন্য পুরকর্মীরা এসে ওই সংযোগ কেটে দিয়েছেন।’’ সূত্রের খবর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানিকতলায় ফের শুরু হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।