খাবার, গয়নার পাশাপাশি ছিল পোশাকের স্টলও। বুধবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই চপ-কাটলেট, ভেলপুরির স্টল। রয়েছে ঝুটো গয়না ও জামাকাপড়ের স্টলও। সবই বাইরের লোকজনের। ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহের সামনে এমন স্টল বসানোয় আপত্তি উঠেছে ক্যাম্পাসে।
রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বুধবার জানান, পড়ুয়াদের একাংশ ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর শিল্পকলা ও ফ্যাশন বিষয়ক ওয়ার্কশপের অনুমতি নিয়েছিলেন। প্রাক্তনী সংসদের নিয়ন্ত্রণাধীন ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া নিয়েছেন তাঁরা। তবে সেখানে যে মেলা বসে যাবে, তা তিনি জানতেন না। রেজিস্ট্রারের দাবি, প্রাক্তনী সংসদের সচিবকে বাইরের স্টল তুলে দিতে বলেছেন তিনি।
অবশ্য এই অনুষ্ঠানের জন্য রেজিস্ট্রারের অনুমতি চেয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তাতে প্রেক্ষাগৃহের সামনে কিছু ‘স্পনসর’ স্টল দেবে বলে উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে, এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, শীতের মেলা। আসলে কেউ কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টাকা তোলার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করছেন।’’
উদ্যোক্তাদের তরফে ছাত্রী সৃষ্টি সরকার বলেন, ‘‘এই ধরনের স্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনুষ্ঠানে থাকে। এখন এ নিয়ে আপত্তি করা হচ্ছে কেন?’’ ক্যাম্পাসের টিএমসিপি নেতা সঞ্জীব প্রামাণিকের বক্তব্য, এই অনুষ্ঠানকে তৃণমূলের অনুষ্ঠান বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, আগে এক বার এই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের বিধায়ক, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী শুভশ্রীর আসার কথা হয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের অনুমতি বিশ্ববিদ্যালয় দেয়নি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই ধরনের স্টল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেওয়া হয়। আপত্তি থাকলে কর্তৃপক্ষ সব পক্ষকে নিয়ে বসে তাঁদের মতামত জানান।’’