প্রতীকী ছবি।
ব্যক্তিগত গাড়িতে করে স্কুলে আসতে পারবে না পড়ুয়ারা। তাদের আসতে হবে পুলকার বা স্কুলের নিজস্ব গাড়িতে। কলকাতার ২৬টি স্কুলে আগামী পয়লা এপ্রিলের মধ্যে এই এমনই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলেছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। যদিও দিনভর টালবাহানার পরে শুক্রবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দফতরের এই নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। কোনও কোনও স্কুল এই নির্দেশ কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কারও মতে, এই নির্দেশ আদৌ বাস্তবসম্মত নয়।
শ্রী শিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা যাতে ব্যক্তিগত গাড়িতে না এসে পুলকারে আসে, সে ব্যাপারে আমরা তাদের শুধুমাত্র সচেতন করতে পারি। কিন্তু এ কথা বলতে পারি না, কেউ নিজের গাড়িতে এলে তাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’’
আরও পড়ুন: মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণা, গ্রেফতার
যে ২৬টি স্কুলের জন্য স্কুলশিক্ষা দফতর এই নির্দেশ জারি করছিল, তার মধ্যে রয়েছে সাউথ পয়েন্টও। তাদের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বলেন, ‘‘এই বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়িত করতে হবে সরকারকেই। আমরা পড়ুয়াদের শুধু বলতে পারি, তারা
যেন ব্যক্তিগত গাড়িতে না আসে। কিন্তু কে ব্যক্তিগত গাড়িতে আসছে, কে পুলকারে আসছে— সেই খবর আমরা কী ভাবে রাখব?’’ লা মার্টিনিয়ারের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই নোটিস দিয়ে পড়ুয়াদের পুলকারে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। পয়লা এপ্রিলের পরে কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে স্কুলে এলে পুলিশ যদি গাড়িকে ধরে, তা হলে সেই দায়িত্ব গাড়ির মালিকের। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াকে আমরা স্কুলে ঢুকতে দেব না, বিষয়টা তা নয়।’’
আরও পড়ুন: হিন্দু হস্টেলের মেসে রান্না বন্ধ, অসুস্থ ছাত্র
উল্লেখ্য, কলকাতার বেশ কিছু স্কুল চালু ও ছুটির সময়ে সেগুলির সংলগ্ন রাস্তায় তীব্র যানজট হয়। যার প্রভাব পড়ে শহরের অন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতেও। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, একসঙ্গে অনেক গাড়ি স্কুলের সামনে চলে এলে দূষণও ছড়ায় সেই এলাকায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারা জানতে পারে, অনেক পড়ুয়া নিজেদের গাড়ি করে স্কুলে আসে। তখন পুলিশ বলেছিল, ওই পড়ুয়ারা পুলকারে এলে স্কুলগুলির সামনে যানজট কিছুটা হলেও কমবে। যার ফলে কমবে দূষণও। এর পরেই তারা বিষয়টি স্কুলশিক্ষা দফতরকে জানায়।