প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল থেকে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন বছর আশির এক বৃদ্ধ। সোমবার রাজারহাটের ওই হাসপাতালের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। সেই রোগীরই সন্ধান মিলল ২৯ ঘণ্টা পরে, হাসপাতালেরই এইচডিইউ ওয়ার্ডে পুলিশ সূত্রের খবর, ২৪ অক্টোবর থেকে সেখানে ভর্তি বেলগাছিয়ার নন্দদুলাল মিত্র। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না। নন্দদুলালবাবুর ভাইপো অরুণাভ মিত্রের সঙ্গেও পুলিশ যোগাযোগ করে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে বৃদ্ধের খোঁজ করেও পায়নি। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ হাসপাতাল থেকে অরুণাভবাবুকে ফোন করে জানানো হয়, রোগী ভাল আছেন।
এর পরে পিপিই পরে হাসপাতালে আসেন অরুণাভবাবু। ২৪ অক্টোবর যে সাধারণ ওয়ার্ডে কাকা ভর্তি হয়েছিলেন, সেখানে নয়, তাঁকে তেতলার এইচডিইউ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অরুণাভবাবুর দাবি, ওই ওয়ার্ডে কাকা কবে এলেন জানতে চাইলে বলা হয়, অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাঁচ দিন আগে নন্দদুলালবাবুকে সেখানে আনা হয়েছে। অরুণাভবাবুর প্রশ্ন, ‘‘অবস্থার অবনতি হলেও কেন জানানো হয়নি?’’ তিনি পাশের রোগীর থেকে জানতে পারেন, সোমবার সকাল থেকে শয্যায় ছিলেন না তাঁর কাকা। অরুণাভবাবুর দাবি, তিনি আরও জানতে পারেন ওই তলারই স্টোর রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত বৃদ্ধকে!
এর পরেই অরুণাভবাবু চেঁচামেচি শুরু করলে হাসপাতালের তরফে ভুল স্বীকার করা হয় বলে দাবি তাঁর। অভিযোগ, সোমবার সকালে বৃদ্ধের কোভিড পরীক্ষা নিয়ে জানতে ফোন করায় কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘রবিবার পর্যন্ত তাঁকে কার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে?’’ যদিও এ সবের উত্তর জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।