ফাইল চিত্র।
চলতি মাস থেকেই বদলে যেতে পারে লালবাজারের মূল কন্ট্রোল রুমের চেহারা। এমনকি, সেটির স্থানও বদল হতে চলেছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, লালবাজারের মূল ভবনের একতলায় নিয়ে আসা হচ্ছে কন্ট্রোল রুমটি। ইতিমধ্যেই সেখানে কন্ট্রোল রুম তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। টেলিফোন লাইন বা নাগরিকদের সঙ্গে সংযোগের ব্যবস্থা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে গেলেই ওই কন্ট্রোল রুম কাজ শুরু করবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েই ওই নতুন কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন করানো হবে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, নতুন কন্ট্রোল রুমের জায়গা এখনকার কন্ট্রোল রুমের থেকে ছোট হলেও সেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। সেখান থেকে গোটা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে খুব সহজেই। চালানো যাবে সিসিটিভি-র নজরদারিও। এ ছাড়া, মূল ভবনে কন্ট্রোল রুম থাকায় পুলিশ কমিশনার-সহ বাকি শীর্ষ কর্তারা জরুরি প্রয়োজনে খুব দ্রুত সেখানে পৌঁছে যেতে পারবেন। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, লালবাজারের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে হটলাইনে যোগাযোগ থাকে কন্ট্রোল রুমের। নতুন কন্ট্রোল রুমে সেই ব্যবস্থার কাজ এখনও চলছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বর্তমানে লালবাজারের যে বাড়িটিতে কন্ট্রোল রুম রয়েছে, সেই বাড়ির ভার কমানো প্রয়োজন। লালবাজারের উত্তর দিকে অবস্থিত বহু পুরনো ওই বাড়িটি এক দিকে কিছুটা হেলে গিয়েছে। বাড়িটি পরীক্ষার পরে পুলিশ কর্তারা জানতে পারেন, সেটির ভিতও মাটিতে কিছুটা বসে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী এর পরেই তেতলা ওই বাড়ি থেকে কিছু দফতর সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত বছরই ওই বাড়ির দোতলায় থাকা কন্ট্রোল রুমটি মূল ভবনের একতলায় নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়। মাঝে করোনা সংক্রমণের জেরে সেই কাজে ছেদ পড়লেও এখন তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ওই নতুন কন্ট্রোল রুমের পরীক্ষামূলক ভাবে কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। তবে এই বিষয়ে কেউ বিশদে কিছু বলতে চাননি। তবে সূত্রের দাবি, এখন যে বাড়িতে কন্ট্রোল রুম রয়েছে, সেখান থেকে বাকি দফতরও সরানো হবে খুব দ্রুত। এর পরে সেটির মেরামতি শুরু হবে। এই কাজের জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।