—ফাইল চিত্র।
টালা সেতুতে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় হয়রানির শেষ নেই সাধারণ মানুষের। এই দুর্ভোগের মাঝে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে অটোর নতুন রুট। পুলিশ সূত্রের খবর, সিঁথির মোড় থেকে বাগবাজার বাটা পর্যন্ত অটোর ওই নতুন রুট বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তা নিয়ে আবার স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা এবং রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের মধ্যে মতবিরোধও শুরু হয়েছে। বরো চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ওই রুট বন্ধও করে দেওয়া হতে পারে।
রবিবার থেকে টালা সেতুতে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় কলকাতায় আসতে চরম হয়রানি পোহাতে হচ্ছে উত্তর শহরতলির বাসিন্দাদের। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সিঁথির মোড়ে চলাচলকারী তিনটি অটো রুটের (দমদম স্টেশন-আর জি কর, সিঁথির মোড়-দমদম স্টেশন এবং সিঁথির মোড়-মিল্ক কলোনি) প্রত্যেকটি থেকে কুড়িটি করে মোট ৬০টি অটো নিয়ে শুরু হয়েছে ওই নতুন রুট। এ দিন সিঁথির মোড়ে ওই নতুন রুটের অটো ধরতে অনেককেই লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়। নতুন রুটের অটো পেয়ে সমস্যা খানিকটা কমেছে বলেও এ দিন দাবি করেছেন যাত্রীদের অনেকেই।
নতুন রুটের অটো চলাচল প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ তথা কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু সেন বুধবার বিকেলে বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে কথা বলে নতুন রুটের অটো চালু করা হয়েছে।’’ ওই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় প্রথমে কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, ‘‘সিঁথির মোড় থেকে বাগবাজার রুটের অটো চালু হলে অনেকের সুবিধা হবে।’’ নয়া রুটের অটো ভাড়া ধার্য হয়েছে ২০ টাকা। সেটা যে খানিকটা হলেও বেশি তা অবশ্য মেনে নেন তরুণবাবু। তিনি বলেন, ‘‘২০ টাকা ভাড়া খুবই বেশি। ভাড়া কমাতে কথা বলব।’’
ইতিমধ্যেই আবার বুধবার সন্ধ্যায় নিজের অবস্থান বদলে তরুণবাবু বলেন, ‘‘নতুন রুটের অটো সরকারি অনুমতি না নিয়েই চলছে। সরকারি অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত আগামীকাল থেকে নতুন ওই রুটে অটো বন্ধ থাকবে।’’ আচমকা বরো চেয়ারম্যানের অবস্থান বদল প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেই নতুন রুটের অটো চলাচলের কথা বলেছি। তরুণবাবু কী বলেছেন জানি না।’’
ধর্মতলার একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন ডানলপের বাসিন্দা মৌসুমী সেন। সেতু বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত এক বাসেই মৌসুমী ধর্মতলায় পৌঁছতেন। সেতু বন্ধের পরে সমস্যায় পড়েন তিনি। কিন্তু বুধবার নতুন রুটের অটো চালু হওয়ায় মুখে হাসি ফুটেছে তাঁর মতো অনেকেরই। নতুন রুটের অটো পেয়ে খুশি সকলেই। তাঁরা জানান, নতুন রুটের অটোয় চেপে উত্তর শহরতলি থেকে কলকাতায় তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যাচ্ছে। এই অবস্থায় বরো চেয়ারম্যান ও সাংসদের মতবিরোধে নয়া অটো রুট বন্ধ হয়ে গেলে সেটা যাত্রীদেরই সমস্যা বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।