Dinabandhu Andrews College

দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজে আবার মারামারি, পড়ুয়াদের অবরোধে এলাকায় যানজট

গত কয়েক মাস ধরে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ঝামেলা চলছেই। এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মার খেয়েছিলেন এক বিধায়কের ছেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৪৫
Share:

দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ। দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে প্রায় দশ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা দীর্ঘক্ষণ কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। ফলে এলাকায় বেশ কিছু ক্ষণের জন্য যানজট তৈরি হয়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে এ দিন বিকেলে পাটুলি থানার পুলিশ ওই কলেজে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

গত কয়েক মাস ধরে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ঝামেলা চলছেই। এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মার খেয়েছিলেন এক বিধায়কের ছেলে। এ দিন অবশ্য গন্ডগোলের সূত্রপাত ভর্তি হওয়ার জন্য টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে। ওই কলেজে টিএমসিপি-র সংগঠনের প্রতিনিধি রিয়া মল্লিকের অভিযোগ, ‘‘এক পড়ুয়া একটি মেয়ের কাছ থেকে ভর্তির টাকা তুলেছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ দিন দুপুরে ঝামেলার সূত্রপাত। ঝামেলা মেটানোর পরে আমি অধ্যক্ষকে পুরো বিষয়টি জানাতে গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে জনা ১০-১২ ছাত্র আমার উপরে চড়াও হয়। আমাকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। আমি ছাড়াও আরও একাধিক ছাত্রীকে হেনস্থা করা হয়।’’ রিয়ার দাবি, ‘‘যে টাকা তুলছিল, সে ছাত্র নেতা কোহিনুর মজুমদারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কোহিনুরই আমাদের কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে বার বার গন্ডগোল পাকাচ্ছে। কোহিনুরের মদতেই এ দিন ঝামেলা বেধেছে।’’

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে কোহিনুরের দাবি, ‘‘কলেজে একটা গন্ডগোল হয়েছে জানি। তবে আমি সে সময়ে কলেজে ছিলাম না। আমি সকলেরই ঘনিষ্ঠ। রিয়া ওই কলেজ থেকে পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছেন। উনি যে অভিযোগ করছেন, তা ঠিক নয়।’’ রিয়ার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর পড়ুয়াদের অভিযোগ, বহিরাগতদের আসা-যাওয়ায় কলেজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় এ দিন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়। যার জেরে দু’পক্ষের কারও মাথা ফেটেছে, কারও চোখেমুখে আঘাত লেগেছে। মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের তরফেই পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সোমনাথ মুখোপাধ্যায়কে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement