বিধাননগর পুরসভা।
মেয়র এবং কাউন্সিলরদের একাংশের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। তার প্রভাব পুর পরিষেবার উপরে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিধাননগর পুর এলাকার অনেক বাসিন্দা।
রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ট্রেড লাইসেন্স, মিউটেশন-সংক্রান্ত কাজ তেমন ভাবে হচ্ছে না। আবার সল্টলেক-সহ পুর এলাকার অন্য অংশে আলো, রাস্তা, আবর্জনা অপসারণ সংক্রান্ত পরিষেবার কাজও ধীর গতিতে চলছে।
মঙ্গলবার মেয়র সব্যসাচী দত্ত দাবি করেছেন, পরিষেবা ব্যাহত হবে না। তবে নতুন আলো লাগানো বা নতুন রাস্তা তৈরির মতো কাজ কত দিনে শেষ হবে তা স্পষ্ট করেননি মেয়র। ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাস্তার কাজ সময়ের মধ্যেই শেষ করার চেষ্টা চলছে। পরিষেবা বজায় রাখতেই আমরা লড়ছি।’’ যদিও পুরকর্তাদের একাংশের দাবি, প্রথম পুরবোর্ড হওয়া সত্ত্বেও উন্নয়নমূলক এবং নিত্যদিনের পরিষেবা— সব কাজেরই মান বেড়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের কারণে সোমবার তিন মাস বাদে বিধাননগর পুরভবনে কাউন্সিলরদের বৈঠক হয়। তবে বৈঠকে মেয়রের বিরোধী বলে পরিচিত কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ অনুপস্থিত ছিলেন। মেয়র জানিয়েছিলেন অসুস্থতার জন্য তিনি যোগ দেননি।
গরহাজির কাউন্সিলরদের অভিযোগ, পুর অধিবেশনে উপস্থিত থেকেও পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে সোমবারের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি তাঁরা। মেয়রের প্রতিও আস্থা নেই বলে সোমবার জানিয়েছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলরেরা মেয়র সব্যসাচী ও ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দু’টি শিবিরে বিভক্ত হয়ে রয়েছেন। তাতে পরিষেবা মার খাচ্ছে বলেই অভিযোগ। পুরকর্তাদের একাংশ জানান, সোমবারের বৈঠকে পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সল্টলেকের বাইরে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় পুর পরিষেবা নিয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন ডেপুটি মেয়রের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরেরা। যদিও মেয়র সোমবার বলেন, ‘‘গত চার বছরে নিত্য পরিষেবার পাশাপাশি নতুন প্রকল্পের কাজও হয়েছে। আইনের আওতায় থেকে যেটুকু করা সম্ভব, করা হয়েছে। এর বাইরে কিছু করতে হলে সরকারের লিখিত অনুমোদনের প্রয়োজন।’’