—প্রতীকী চিত্র।
নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বাড়তি পণ্য পরিবহণ বন্ধের দাবি-সহ সাত দফা দাবিতে আজ, বুধবার সকাল ৬টা থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ট্রাকমালিক সংগঠনের ডাকে রাজ্যে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হচ্ছে। পুজোর মুখে ‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডাকে টানা তিন দিনের এই ধর্মঘটের জেরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইকারি বাজারে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যের ট্রাকমালিক সংগঠনের ডাকা ওই ধর্মঘটে সংহতি জানিয়েছে ভিন্ রাজ্যের ট্রাকমালিকদের একাধিক সংগঠন।
সর্বভারতীয় সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস’-ও নৈতিক ভাবে রাজ্যের সংগঠনের ওই ধর্মঘট এবং ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি সমর্থন করেছে। বিভিন্ন রাজ্যের সংগঠনের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছে, ধর্মঘট চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গে ট্রাক না পাঠাতে। অন্ধ্রপ্রদেশের দু’টি সংগঠনও পশ্চিমবঙ্গের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে ট্রাক পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ। এর জেরে রাজ্যে মাছ, ডিম, বিভিন্ন কাঁচা আনাজ এবং ফলের পাইকারি বাজারে জোগানে টান পড়তে পারে। বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর জোগানও ব্যাহত হতে পারে।
ট্রাকমালিক সংগঠনের দাবি, রাস্তায় পুলিশি নির্যাতন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট, রাজ্যের বালি খাদানগুলিতে ভূমি রাজস্ব আধিকারিকদের দ্বারা হয়রানি ছাড়াও একাধিক ওয়ে ব্রিজে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টাকা আদায়ের বিরুদ্ধে ওই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, তাঁদের দিক থেকে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। রাস্তায় নেমে ধর্মঘট করলে বা ট্রাক আটকানোর চেষ্টা হলে সে ক্ষেত্রে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।