—প্রতীকী চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকে মেধা তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হল। তার জেরে ১৪০৫২ জনের মেধা তালিকা কবে প্রকাশ হবে, তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৮ অগস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল, এক মাসের মধ্যে কাউন্সেলিং করে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪০৫২ জন প্রার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিল তারা। ওই নির্দেশের পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তবে এসএসসি সূত্রের খবর, ওই মেধা তালিকা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। কমিশনের মতে, ১৪০৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে এমন কিছু প্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা ইন্টারভিউ হওয়ার পরে তথ্যে গরমিল থাকায় বাদ গিয়েছিলেন। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশ মতো ১৪০৫২ জন প্রার্থীর যে তালিকা প্রকাশ করতে হবে, সেখানে যাঁরা বাদ গিয়েছিলেন, তাঁদেরও অনেককে রাখতে হবে। এসএসসি-র একাংশের আশঙ্কা, তেমন প্রার্থীদের নাম-সহ মেধা তালিকা প্রকাশ হলে ফের মামলা হবে। ফলে তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এসএসসি সূত্রের খবর, ১৪০৫২ জনের মধ্যে এমন কিছু প্রার্থী আছেন, যাঁদের শংসাপত্রে গরমিল রয়েছে। আবার, কিছু প্রার্থীর নম্বরে গরমিল রয়েছে। এমনকি, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীও রয়েছেন কয়েক জন। ইতিমধ্যেই মেধা তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের পরে এক দল চাকরিপ্রার্থী তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, তাঁরা নিজে থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন না। এই ১৪০৫২ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করার আগে আইনি পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেই তাঁরা মনে করেন। তাই এখনই তালিকা প্রকাশ না করে আইনি পরামর্শ নিয়ে তার পরে পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে কমিশন।
এ দিকে, ফের মেধা তালিকা প্রকাশের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ায় হতাশ উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মতে, বার বার তীরে এসে তরী ডোবার অবস্থা তৈরি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ১৪০৫২ জন প্রার্থীর মেধা তলিকা প্রকাশ নিয়ে সংশয় থাকার কথা নয়। যে সব প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতায় গরমিল ছিল, তাঁদের তথ্য কমিশন শুনানি-পর্বে জমা করেছিল। তাই ডিভিশন বেঞ্চ তালিকায় ১৪০৫২ জনকে রাখার কথা বললেও কমিশন যদি বিতর্কিত প্রার্থীদের না রাখে, তা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কমিশন শুধু শুধু দেরি করছে। আমরা বৃহস্পতিবার এসএসসি দফতরে বিক্ষোভ দেখাব।’’