—প্রতীকী চিত্র।
ধড়ে মাথা নেই। সামনের দু’টি পায়ের একটি কাটা। চাপ চাপ রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে আশপাশে। এমনই ভয়াবহ অবস্থায় একটি কুকুরছানার মৃতদেহ উদ্ধার হল দমদমের নাগেরবাজারে। এক পশুপ্রেমী বিষয়টি সমাজমাধ্যমে তুলে ধরতেই নানা মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কী করে কেউ কোনও প্রাণীকে এই ভাবে খুন করতে পারে, তা ভেবে হতবাক একাধিক পশুপ্রেমী সংগঠন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নাগেরবাজার থানা। যদিও এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। কুকুরছানাটির মৃতদেহের ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
রিশা চট্টোপাধ্যায় নামে এক পশুপ্রেমীর দাবি, সোমবার বিকেলে নাগেরবাজারের মিউনিসিপ্যাল লেন, ফুলপট্টি এলাকায় ওই কুকুরছানাটির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে খবর পান তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি গিয়ে দেখি, রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে আশপাশে। লোক জড়ো হয়ে গিয়েছে। দু’মাসের ওই কুকুরছানাটির ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। সামনের দু’টি পায়ের মধ্যে ডান দিকেরটি কাটা। কিন্তু কাটা মাথা বা পা-টি পাওয়া যায়নি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয়েছে। কুকুরছানাটির মা-ও অসহায় অবস্থায় ওই জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’
এর পরে রাতেই রিশা এবং তাঁর সঙ্গীরা স্থানীয় নাগেরবাজার থানায় যান। সেখানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। মৃতদেহটি তাঁরাই নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখেন। মঙ্গলবার সকালে সেটি নিয়ে ফের তাঁরা থানায় যান। সেখানে এফআইআর দায়ের করা হয়। বিকেলে বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে কুকুরছানাটির মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু নথিপত্রের জটিলতায় সেই ময়না তদন্ত পিছিয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামী বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত হবে।
ঘটনাস্থল দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার আট নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেখানকার পুরপ্রতিনিধি অভিজিৎ মিত্র ওরফে বাপি এ বিষয়ে বলেন, ‘‘ভাবতে অবাক লাগছে, কেউ কী করে একটি কুকুরছানাকে এ ভাবে মারতে পারে! মাথা আর কাটা পা-টাও পাওয়া যায়নি। কী উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে, সেটা জানা প্রয়োজন। ওই এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশকে সক্রিয় হতে অনুরোধ জানিয়েছি।’’ নাগেরবাজার থানার এক পুলিশ অফিসার বললেন, ‘‘ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কিছু পাওয়া যায় কিনা, দেখা হচ্ছে।’’