তোড়জোড়: পিপিই পরে প্ল্যাটফর্ম জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। মঙ্গলবার, নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
করোনা পরিস্থিতিতে ই-পাসের ঝক্কি সামলে মেট্রোয় যাতায়াতের সুযোগ মিলুক বা না মিলুক, স্মার্ট কার্ড আছে এমন যাত্রীদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ১০০ টাকা রিচার্জ করাতে হবে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। স্মার্ট কার্ডের সক্রিয়তা বজায় রাখতেই ওই ব্যবস্থা বলে আধিকারিকেরা জানান। সাধারণত এক বার রিচার্জ করলে তা এক বছর পর্যন্ত চালানো যায়। কিন্তু লকডাউন পর্বে অনেক যাত্রীরই স্মার্ট কার্ডের সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করিয়ে নিতে হবে। না হলে কার্ডে জমা থাকা টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না বলেই মেট্রো সূত্রের খবর।
লকডাউনের কারণে গত ২২ মার্চের পর থেকে মেট্রো বন্ধ। আধিকারিকেরা জানান, হিসেব অনুযায়ী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্মার্ট কার্ডের বৈধতা শেষ হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিচার্জের সময়সীমা বৃদ্ধি হতে পারে। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে মেট্রো স্টেশনে না এসে বাড়িতে বসেও অনলাইনে রিচার্জ করা যাবে। মেট্রোর ওই নির্দেশিকায় কিছুটা বিপাকে পড়তে পারেন স্মার্ট কার্ডের যাত্রীরা। কার্ড বাতিল হলে আবার নতুন কার্ড কিনতে হয়। তবে মেট্রোর আধিকারিকদের দাবি, অনেকেই ইতিমধ্যে অনলাইনে রিচার্জ করছেন।
মঙ্গলবার নোয়াপাড়া থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু করার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের ঢোকার এবং বেরিয়ে আসার পথ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি যাত্রীদের হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য রাখা অ্যালকোহল ডিসপেনসারগুলি ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখেন তিনি। আজ, বুধবার কবি সুভাষ থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত সব ক’টি স্টেশন ঘুরে দেখবেন তিনি। এ দিন মেট্রো পরিষেবা শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে দিনভর ১০ মিনিট অন্তর মেট্রো ছুটেছে। আজ বুধবারও তা-ই হবে বলে খবর।
আপাতত সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দুই প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষ এবং নোয়াপাড়া থেকে দিনের শেষ মেট্রো ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টায়। ওই দু’টি ট্রেন রাত ৮টায় গন্তব্যে পৌঁছবে। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষার্থীদের জন্য আগামী রবিবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৬৬টি ট্রেন চলবে। ওই দিন অ্যাডমিট কার্ড দেখে পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থী-পিছু এক জন অভিভাবক যেতে পারবেন। স্মার্ট কার্ডে যাতায়াত করা যাবে। তবে যাঁদের কার্ড নেই তাঁদের জন্য পিস বোর্ডের টিকিট দেওয়া হবে। মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ই-পাস সংক্রান্ত বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখছে।’’