—ফাইল চিত্র।
সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে নবদিগন্ত তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট করে নতুন কর ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এই জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে। কমিটির সদস্যদের নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর একটি বৈঠক করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ভ্যালুয়েশন বোর্ড বা কেন্দ্রীয় মূল্যায়ন পর্ষদ এই কর নির্ধারণের কাজ (অ্যাসেসমেন্ট) করবে। সূত্রের খবর, নবদিগন্ত কতৃর্পক্ষ বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুক থেকে বছরে ৭০ কোটি টাকা কর বাবদ পান। নতুন কর নির্ধারণ হলে প্রায় ১২৫ থেকে ১৩০ কোটি টাকা কর পাওয়া যাবে।
নবদিগন্ত শিল্পতালুকের এক কর্তা জানান, সেন্ট্রাল ভ্যালুয়েশন বোর্ডের চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। সেই কমিটিতে নবদিগন্ত কতৃর্পক্ষের এগজিকিউটিভ অফিসার বদ্রিনারায়ণ কর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ পঞ্চানন দাস-সহ মোট সাত জন রয়েছেন। কর কাঠামো কী হবে, তার রূপরেখা তৈরি করবেন। সেই মতো ভ্যালুয়েশন বোর্ডের প্রতিনিধিরা সমীক্ষা করে কর নির্ধারণ করবেন।
কমিটির এক পদস্থ কর্তা জানান, নবদিগন্ত শিল্পতালুক ২.৪৩ কোটি বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে। এই এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা, ব্যাঙ্ক, রেস্তরাঁ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস আছে। সবই আলাদা আলাদা করে কর নির্ধারণ করা হবে। রাস্তা কতটা চওড়া, তাও দেখা হবে সমীক্ষার সময়ে। বিল্ডিংয়ের বয়স ১০ বছরের বেশি না কম, ১ কাঠা জমির দাম ১ কোটি টাকার বেশি না কম, সব কিছু ধরে কর নির্ধারণের সমীক্ষা করা হবে।
নবদিগন্ত শিল্পতালুকের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা জানান, এখন মূল্যায়ন পর্ষদের বিশেষজ্ঞেরা সমীক্ষার কাজ করবেন। বিস্তারিত রিপোর্ট নীহাররঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৈরি কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তার পরে সেই রিপোর্ট রিভিউ করা হবে। কর কাঠামো নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না, তা দেখা হবে। তার পরে নতুন কর কাঠামো চালু করা হবে। কিছু দিনেই নতুন কর কাঠামো চালু করা যাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।