ফাইল চিত্র।
এ বছর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। উচ্চ মাধ্যমিকে এ বার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়ন হয়েছে। অন্যান্য সর্বভারতীয় বোর্ডও অতিমারির এই সময়ে একই পথে হেঁটেছে। তাই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অনেকেই ভর্তির ক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু পদ্ধতি প্রয়োগের চেষ্টায় রয়েছে। এ বছর রাজ্য জুড়ে স্নাতক স্তরে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ২ অগস্ট।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)। তাদের দাবি, এই নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার ভঙ্গের সমান। যাদবপুরের বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব উঠেছে, ভর্তির ক্ষেত্রে পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বরকে ৮০ শতাংশ গুরুত্ব (ওয়েটেজ) দেওয়া হোক। এ ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির সঙ্গে দশম শ্রেণির প্রাপ্ত নম্বরকেও গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। বাকি ২০ শতাংশ নম্বর অনলাইনে বা টেলিফোনের মাধ্যমে গ্রুপ ডিসকাশন অথবা ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হোক। কলা বিভাগের ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটিতে আলোচনা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারকে মাথায় রেখে ও ভর্তি কমিটির সুপারিশ মেনে ভর্তির পদ্ধতি নির্দিষ্ট করা হোক। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবটাই উচ্চশিক্ষা দফতরের বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছেন।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় আগে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিতে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশের ফলে এ বছর প্রবেশিকা নেওয়া হচ্ছে না। রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার শুক্রবার জানালেন, কোন প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছে, ভর্তির ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির ফলের সঙ্গে দশম শ্রেণির ফলকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত আবার জানালেন, তাঁরা ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথমে ৫০ শতাংশ গুরুত্ব মাধ্যমিকের ফলে এবং বাকি ৫০ শতাংশ দশম শ্রেণির ফলের উপরে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শুধু দ্বাদশ শ্রেণির ফলের ভিত্তিতেই ভর্তি নেওয়া হবে।
নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানান, সেখানে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বাধিক নম্বর পাওয়া চারটি বিষয়ের মোট নম্বরের সঙ্গে যে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া অনার্স নিতে চায়, সেই বিষয়ের নম্বর যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি হবে। তবে সাংবাদিকতা, কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রাণিবিদ্যায় মেধা তালিকা তৈরিতে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত অন্যান্য দু’-একটি বিষয়ের নম্বরও বিবেচনা করা হবে।