ফাইল চিত্র।
জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সম্মতিতেই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। কোনও কোনও জায়গার ক্ষেত্রে তা করতে গিয়ে দেরি হতে পারে। কারণ, স্থানীয় অনেক বিষয় সেখানে জড়িত। সেগুলির সমাধান না করে জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। সেটা রাজ্য সরকারের নীতি নয়। ফলে সংশ্লিষ্ট জমি ব্যবহারের অধিকারও (রাইট অব ইউজার বা আরওইউ) পাওয়া যাবে না। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি (সিএনজি) কলকাতায় আনার জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ কত দূর এগিয়েছে, সেই সম্পর্কে জমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এমনই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। জাতীয় পরিবেশ আদালতে হলফনামা দিয়ে সেই বক্তব্য জানানো হয়েছে।
পরিবেশকর্মীদের একাংশের আবার বক্তব্য, এমনিতেই পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিয়ে মামলা চলছে। পরিবেশ আদালতও এ বিষয়ে একাধিক নির্দেশ দিলেও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘রাজ্য যে পরিকল্পনার মাধ্যমে পাইপলাইন বসানোর জন্য জমি অধিগ্রহণের কথা বলেছে, তাতে আদৌ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, সিএনজি সরবরাহকারী সংস্থা ‘গেল (ইন্ডিয়া) লিমিটেড’ পরিবেশ আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে গ্যাস আনার পাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে জমির সমস্যার কথা জানিয়েছিল। তার পরেই পরিবেশ আদালত এ নিয়ে রাজ্যকে পরিকল্পনা জানাতে নির্দেশ দেয়। জমা দেওয়া হলফনামায় সরকার অবশ্য এ-ও জানিয়েছে, ‘গেল’-এর কথা মতো জমি অধিগ্রহণের প্রথম পর্যায়ের কাজ নভেম্বরে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসন নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক করছে।