রেড রোডে শোভাযাত্রা ৯৬টি পুজো কমিটির। ছবি: সংগৃহীত।
রেড রোডের উপর দিয়ে শোভাযাত্রা করে শুক্রবার নিরঞ্জনে গেল শহরের ৯৬টি পুজো কমিটির প্রতিমা। সেই কার্নিভালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপভোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার যদিও সকলের থেকে তাঁর বসার ব্যবস্থা একটু আলাদা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে আজানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীদের তালে তালে এক বার পা মেলাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে পায়ের ব্যথার কারণে বেশির ভাগ সময় ছিলেন বসে।
পুজো কার্নিভালে মমতা জানান, টালা প্রত্যয় এবং চালতাবাগান সর্বজনীনের প্রতিমা আলিপুর জেল মিউজিয়ামে সংরক্ষিত করা হবে। ওই বিষয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিদেশ সফর সেরে ফেরার পর থেকে পায়ে ব্যথার কারণে বাড়ি থেকে বার হননি মমতা। কালীঘাটের বাড়ি বসেই সেরেছেন কাজ। এ বার শহরের বেশির ভাগ পুজোর উদ্বোধনও সেরেছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। দীর্ঘ দিন পর শুক্রবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে কার্নিভালে যোগ দেন। তিনি বসেছিলেন মূল মঞ্চে। অল্প সময়ের জন্য এক বার অংশগ্রহণকারীদের নাচের তালে পা মেলান তিনি। উত্তর কলকাতার একটি পুজোর শোভাযাত্রায় নৌকা চালানোর ভঙ্গি ছিল। সে সময় ওই ভঙ্গিতে তাল মেলান মমতাও। অন্য বার রেড রোডে ধরে হেঁটে উপস্থিত দর্শকদের স্বাগত জানান মমতা। এ বার পায়ে ব্যথার কারণে অল্প হেঁটে ভিআইপি অতিথিদের ব্লক পেরিয়ে নিজের জায়গায় বসেন তিনি।
কার্নিভালের জন্য দুপুর ১২টা থেকে বন্ধ ছিল রেড রোড। সে কারণে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। মধ্য কলকাতায় সন্ধ্যার দিকে যানজট তৈরি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী। তবে কার্নিভাল দেখে দর্শকদের বাড়ি ফেরার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে। দমদম থেকে কবি সুভাষগামী শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ১০ মিনিটে। একই ভাবে কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ১০ মিনিটে।