কলেজের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ সুব্রত বক্সী। —নিজস্ব চিত্র।
বেথুন কলেজ ১৮৭৯ সালে, ১৯৩৯ সালে লেডি ব্রেবোর্ন। তার পরে এই প্রথম কলকাতা পাচ্ছে পূর্ণাঙ্গ সরকারি মহিলা কলেজ। বৃহস্পতিবার হেস্টিংস ভবন চত্বরে নতুন ওই কলেজের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজের নামও তাঁর দেওয়া- সিস্টার নিবেদিতা কলেজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নতুন এই মহিলা কলেজের নাম ঠিক করেছি সিস্টার নিবেদিতার নামে।’’ নতুন কলেজের অধ্যক্ষা কৃষ্ণা রায় বলেন, ‘‘এ যাবৎ কালে দক্ষিণ কলকাতায় কখনওই মহিলাদের সরকারি কলেজ হয়নি। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা।’’
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে প্রচুর কলেজ, আইটিআই ও পলিটেকনিক কলেজ তাঁরা করেছেন বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে ৬৬ বছরে এ রাজ্যে ৩০টি কলেজ হয়েছে। আমরা চার বছরে ৪৫টি কলেজ করেছি। তার মধ্যে ৩০টি সরকারি। ৬টি সরকারি, ৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমরা এ মাসেই লন্ডন যাব। সেখানে শিক্ষা সংক্রান্ত অনেকগুলি মউ স্বাক্ষর হবে। আমি চাই, এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করুক। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে বলেছি। কলকাতায় শেখ মুজিবর রহমানের নামে গত মার্চ থেকেই চেয়ার চালু হয়ে গিয়েছে। ইকবালের নামে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চেয়ার হয়েছে।’’ বাংলা এক দিন ‘এডুকেশন হাব’ হবে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।’
এ দিন ওই চত্বরে সরকারি অতিথি ভবন ‘সৌজন্য’-এরও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কূটনৈতিক আলোচনা বা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য কলকাতায় নির্দিষ্ট কোনও জায়গা ছিল না। তাই এই ভবন তৈরি করছি।’