ক্লাসে না ঢুকতে দিয়ে প্রথম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে ফের তুলে দেওয়া হল স্কুলবাসে। বাস ছেড়েও দেয়। মাঝপথে চালক খেয়াল করলে সেই খুদেকে ফিরিয়ে আনা হয় স্কুলে।
এমন ঘটনা ঘটেছে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। শুক্রবার নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনের ক্লাস ছিল। প্রথম শ্রেণির ওই ছাত্রকে স্কুলের গেটে নামিয়ে দিয়ে যান বাবা। ওই পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ, এর পরেই তাকে স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে বাসের লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাউথ পয়েন্ট স্কুলে সকাল এবং দুপুর দু’টি সময়েই ক্লাস হয়। সকালের শিফ্টের শেষে পড়ুয়ারা যে সব স্কুলবাসে করে বাড়ি যায়, তেমনই একটিতে তুলে দেওয়া হয় ওই ছাত্রকে। কিন্তু বাসে উঠে অচেনা পরিবেশ দেখে কান্নাকাটি শুরু করে সে। তত ক্ষণে বাস ছেড়ে দিয়েছে। সকালের শিফ্টের পড়ুয়াদের নামিয়ে ঘণ্টা খানেক পরে চালক ছাত্রকে নিয়ে স্কুলে ফিরে কর্তৃপক্ষকে সব জানান। অধ্যক্ষ তখন পড়ুয়াটিকে চকলেট দিয়ে, ক্লাসে পাঠান। খবর যায় তার বাড়িতেও। স্কুলের পক্ষে শনিবার কৃষ্ণ দামানি জানান, এমন ঘটনা ঘটায় তাঁরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। কৃষ্ণবাবুর ব্যাখ্যা, ওই ছাত্র গত শিক্ষাবর্ষে সকালের শিফ্টে পড়ত। এ বার থেকে দুপুরে আসছে। সকালের পড়ুয়াদের যে আইডি কার্ড থাকে, তা গলায় ঝোলানো থাকে লাল ফিতে দিয়ে। দুপুরের পড়ুয়াদের ফিতের রং নীল। এ দিন ছিল এ বছরের প্রথম দিনের ক্লাস। এখনও নীল ফিতে পায়নি সে। ওই পড়ুয়ার গলায় লাল ফিতে দিয়েই আইডি কার্ড থাকায় বিভ্রান্তি হয়েছে। যদিও ছাত্রের পরিবারের পক্ষে জানা গিয়েছে, সে স্কুলবাসে নয়, কারপুলে যাতায়াত করে।
ছাত্রটির পরিবারের পক্ষে মধুছন্দা দাশগুপ্ত এ দিন জানান, এই বিভ্রান্তির জেরে খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিশুটি। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে ব্যাগে বড় করে ‘আফটারনুন সেশন’ লিখে দেওয়া হয়েছিল। লাল ফিতেতে বাঁধা আইডি কার্ড ব্যাগে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গেটে কেউ ওকে কার্ডটি গলায় ঝোলাতে বলেন। তার পরেই এমন ঘটে।’’ কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমরা সত্যিই দুঃখিত।’’