খাঁচাবন্দি সেই ভাম। নিজস্ব চিত্র
এক ব্যক্তিকে কামড়ে দিয়েছিল ভাম বেড়াল। এর পরেই সংস্কারের বশে স্থানীয় বাসিন্দারা সেটিকে পিটিয়ে আধমরা করে
খাঁচাবন্দি করেন। নিজের চিকিৎসার জন্য ভাম বেড়ালটিকে খাঁচাবন্দি করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান রেজাউল ইসলাম নামে আহত ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, হাবড়া থানার চাকলার বদরহাট এলাকায় শনিবার রাতেই আচমকা
একটি ভাম বেড়াল ঢুকে পড়ে। তখন কয়েক জন সেটিকে ধরার চেষ্টা করেন। সেই সময়েই ভাম বেড়ালটি রেজাউলকে আঁচড়ে, কামড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এলাকার লোক ভাম বেড়ালটিকে মারধর করে খাঁচায় ভরেন। এর পরে
রেজাউল তাঁর চিকিৎসার জন্য সেটিকে নিয়ে বারাসত হাসপাতাল গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেজাউলকে পরামর্শ দেন, ভামটিকে ওই এলাকায় ছেড়ে দেওয়ার কিংবা বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার। এর পরেই খাঁচাবন্দি প্রাণীটিকে নিয়ে ফিরে যান রেজাউল।
কেন মারলেন ভাম বেড়ালটিকে? পেশায় আনাজ বিক্রেতা রেজাউল রবিবার বলেন, ‘‘কোন প্রাণী কামড়েছে তা ডাক্তারবাবু দেখানোর জন্য ভামটিকে খাঁচায় ভরে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরে অনেকে সেটিকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। রাজি হইনি। ঠিক করি, সকালে ভামটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেব। কিন্তু রাতেই খাঁচা ভেঙে পালিয়ে যায়।’’
যদিও এই বক্তব্যকে মিথ্যে বলে দাবি করছেন বারাসতের একদল পশুপ্রেমী। তাঁদের অভিযোগ, বারাসত হাসপাতাল থেকে ওই ভাম বেড়ালটিকে তিনি বাড়ি কেন নিয়ে গেলেন? সেটিকে বন দফতরের হাতে কেন তুলে দিলেন না? তাঁদের অভিযোগ, রবিবার তাঁরা সকালে বন দফতরকে গোটা বিষয়টি জানালেও দফতর গুরুত্ব দেয়নি। এ প্রসঙ্গে বন দফতরের এক অধিকারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রবিবার অধিকাংশ কর্মীর ছুটি থাকে। তা ছাড়া শনিবার রাতে কেউ বিষয়টি আমাদের জানায়ওনি।’’