CISCE

স্কুলপড়ুয়াদের বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর বোর্ডের

সম্প্রতি সিআইএসসিই বোর্ড বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে তারা কিছু বিষয়ে জোর দিতে চায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

পড়ুয়াদের বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের শিক্ষায় আরও জোর দিতে চলেছে সিআইএসসিই বোর্ড। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ দিন ব্যাগ ছাড়াই স্কুলে আসতে বলা হচ্ছে। সেই দিনগুলিতে পড়ুয়ারা বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিশেষ প্রশিক্ষণ নেবে।

Advertisement

সম্প্রতি সিআইএসসিই বোর্ড বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে তারা কিছু বিষয়ে জোর দিতে চায়। সেগুলি শীঘ্রই কার্যকর করতে স্কুলগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে— পড়ুয়াদের নিচু ক্লাস থেকেই বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, পড়াশোনা ব্যতীত একাধিক বিষয় যেমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ, প্রাথমিক স্তরের পড়ায় মাতৃভাষার উপরে গুরুত্ব দেওয়া ইত্যাদি।

শুধু পাঠ্যবইয়ের পড়াশোনাই নয়। ছুতোর মিস্ত্রি, কুমোরের কাজ, বাগান পরিচর্যা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ মেরামতি, হেয়ার ড্রেসিংয়ের মতো একাধিক পেশাদার বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই দেওয়ার কথা ভাবছে সিআইএসসিই বোর্ড। এ জন্য ১০ দিন স্কুলে ব্যাগ ছাড়া এসে পড়ুয়ারা শুধু বৃত্তিমূলক কাজের প্রশিক্ষণ নেবে। এক শিক্ষক বলেন, “ছুতোর মিস্ত্রির কাজ বা বাগান পরিচর্যা, যে কাজে যিনি পারদর্শী, তিনিই স্কুলে এসে প্রশিক্ষণ দেবেন পড়ুয়াদের। এ নিয়ে পরে পেশাগত সুযোগ কতটা ও কোথায়, তারও দিগনির্দেশ করা হবে।”

Advertisement

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পড়াশোনার পাশাপাশি কোন পড়ুয়ার কোন দিকে ঝোঁক, শিক্ষকদের সেটা চিহ্নিত করে তাকে সেই ভাবে তৈরি করতে হবে। যেমন, কারও অঙ্কে আগ্রহ থাকলে দেখতে হবে সে যেন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক অঙ্ক অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতে পারে। কারও ছবি আঁকা বা লেখালিখির ঝোঁক থাকলে কী ভাবে সেই প্রতিভা আরও বিকশিত হতে পারে, তা দেখতে হবে শিক্ষকদের। পড়ুয়ারা বিষয় নির্বাচনেও যাতে আরও বিকল্প পেতে পারে, তার উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে। পাঠ্যবই নির্বাচনের সময়ে তার মান খুঁটিয়ে দেখে তবেই বাছাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পড়াশোনায় মাতৃভাষার উপরেও জোর দিতে বলেছে বোর্ড। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষা দিয়েই শুরু করা ভাল। উঁচু ক্লাসে উঠলে তখন ইংরেজি শিক্ষায় জোর দিতে হবে। মাতৃভাষা ও ইংরেজি ছাড়া সংস্কৃত-সহ অন্য কিছু ভাষাশিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত বোর্ডের। অনলাইন ক্লাসে পড়ানোর পদ্ধতি আরও ভাল করে রপ্ত করার প্রশিক্ষণ নিতে হবে শিক্ষকদের। সেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বোর্ড করবে বলে জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement