জাদুঘর কর্তার খোঁজে ফের সিআইডি

কলকাতা জাদুঘরের মুখ্য সংরক্ষণ আধিকারিক সুনীল উপাধ্যায়ের সন্ধান পেতে ফের সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। সিআইডি সূত্রের খবর, সম্প্রতি আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সিআইডি-র এক ডিএসপি-কে দিয়ে নিখোঁজ জাদুঘর কর্তাকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৬ ০১:২৬
Share:

কলকাতা জাদুঘরের মুখ্য সংরক্ষণ আধিকারিক সুনীল উপাধ্যায়ের সন্ধান পেতে ফের সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। সিআইডি সূত্রের খবর, সম্প্রতি আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সিআইডি-র এক ডিএসপি-কে দিয়ে নিখোঁজ জাদুঘর কর্তাকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ওই মামলার তদন্ত করেছিল সিআইডি। কিন্তু তাঁরা সুনীলের কোনও খোঁজ না পেয়ে তদন্ত শেষ করার কথা জানিয়ে গত বছর আদালতে রিপোর্ট জমা দেয়।

Advertisement

ভবানী ভবন সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশের পরে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখার ডেপুটি সুপার নতুন করে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার পরেই সোমবার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয় নিখোঁজ সুনীলের দুই আত্মীয়কে। ঘণ্টাখানেক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। সুনীলবাবুর দাদা অনিল উপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথম বার সুপ্রিম কোর্ট সিআইডি-র তৎকালীন ডিআইজি দময়ন্তী সেনকে ওই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেন। আমরা সেই তদন্তে খুশি হতে না পেরে আদালতে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিলাম। তার ভিত্তিতেই আদালত নতুন করে সিআইডি-কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পরেও যদি সিআইডি ভাইকে খুঁজে বার করতে না পারে, তা হলে আমরা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের আবেদন করব।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের ৩ জুলাই চারু মার্কেটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সুনীলবাবু। কলকাতা পুলিশ প্রথমে তদন্তভার নিলেও সুনীলবাবুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশের তদন্তে ভরসা না রাখতে পেরে ওই বছরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সুনীলবাবুর পরিবার। নিখোঁজ কর্তার ভাই অনিল উপাধ্যায় ওই আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট পুরো ঘটনার তদন্ত করতে সিআইডি-কে নির্দেশ দেয়। সিআইডি সূত্রের খবর, আট মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত চালিয়েও সুনীল উপাধ্যায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত বছর অগস্ট মাসে সিআইডি-র তদন্তকারীরা আলিপুর আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement