—ফাইল চিত্র
নিজেই স্কুলে নিয়ে যান, নিয়েও আসেন। তবুও নিশ্চিন্ত হতে পারেন না সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে। কারণ, স্কুলের সময়টুকু তো সে একাই থাকে। গত কয়েক বছর ধরে স্কুল চত্বরে যৌন হেনস্থার একের পর এক ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই সময়টুকুও নিরাপদ মনে করছেন না বাবা-মায়েরা।
সে জন্যই বছর ন’য়েকের মেয়েকে স্পর্শের ভেদাভেদ বোঝানোর পাশাপাশি খারাপ পরিস্থিতি কী ভাবে রুখতে হবে, সেটাও শেখাতে চান মা। তাই রবিবার সকালে সিআইটি রোডের পদ্মপুকুর পার্কে মেয়েকে নিয়ে হাজির পার্ক সার্কাসের ফতিমা জ়হির। ছ’বছরের মেয়েকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফতিমার মতোই আরও এক মা। তাঁর কথায়, “এখন আর বয়স দেখে বিপদ আসে না। ছোট থেকেই মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ নিয়ে রাখা ভাল।”
এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে শহরের কয়েক জন প্রশিক্ষক মিলে রবিবার আয়োজন করেছিলেন এক দিনের কর্মশালার। ফিলিপিনো মার্শাল আর্ট ‘কালি’-র প্রাথমিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শেখানো হয়, পথে ধারালো অস্ত্র বা লাঠির সামনেও কী ভাবে ভয় না পেয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে আনা যায়।
প্রশিক্ষকদের এক জন শেখ সেলিম আলি, যিনি ভারতীয় প্যারা কম্যান্ডারের প্রশিক্ষকও। তিনি বলেন, “ছোটদের তো বটেই, মায়েদেরও এই প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। সকলের আত্মরক্ষার কসরত রপ্ত করা জরুরি।” দুই প্রশিক্ষক সায়ন খাস্তগীর ও পৌলোমী সাহা কর্মশালার শুরুতেই দেন আত্মরক্ষার পাঠ।