প্রতীকী ছবি।
ডাকাতির অভিযোগে ধৃত দুই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। একই সঙ্গে বড়বাজার থানার ওই ডাকাতির ঘটনায় আরও পাঁচ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। যার মধ্যে এক জন বরখাস্ত হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার মোট সাত জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ডাকাতি-সহ ন’টি ধারায় অভিযোগ এনে ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার সন্দীপ পাল। তবে চার্জশিট জমা পড়লেও ওই মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। ডাকাতির ওই ঘটনায় পুলিশের আরও কয়েক জন আধিকারিক যুক্ত থাকতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের কাজ চলছে।
ডাকাতির ওই ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী সমীর মান্না পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, বিকেল ৩টে নাগাদ হাওড়া স্টেশনের কাছে বাস থেকে নেমেছিলেন তিনি। তখনই চার জন এসে নিজেদের পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দিয়ে জোর করে তাঁকে একটি সাদা রঙের গাড়িতে তুলে নেয়। তার পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে। অভিযোগ, সেখানে ওই ব্যবসায়ীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁর কাছে থাকা ১১ কেজি রুপোর গয়না কেড়ে নেয় তারা।
তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে হাওড়া কমিশনারেটের কয়েক জন পুলিশকর্মী। গ্রেফতার করা হয় দুই কনস্টেবল সুরজিৎ সরকার ও সমীরণ পাত্রকে। সেই সঙ্গে ধরা পরে বাকিরাও। যার মধ্যে রয়েছে অন্য একটি ডাকাতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার সৈকত চট্টোপাধ্যায়। অভিযুক্তদের মধ্যে চার জন এর আগে কসবা থানা এলাকায় সিবিআই অফিসার সেজে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল। পরে জামিনে ছাড়া পেয়েও ফের তারা সেই কাজ শুরু করে।
তদন্তকারীদের দাবি, এই ঘটনায় হাওড়া পুলিশের আরও কয়েক জনের জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এ দিন বিচারকের কাছে জমা দেওয়া চার্জশিটে তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।