Money

ধর্মতলার কাছে সাত তলার জানলা দিয়ে উড়ে আসছে লাখ লাখ টাকা! কুড়োতে হুড়োহুড়ি

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ২৭ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে এম কে পয়েন্ট নামে একটি বহুতল থেকে আচমকাই টাকার বান্ডিল পড়তে শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:০২
Share:

এ ভাবেই জানালা দিয়ে ফেলা হয়েছিল টাকা। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি

কাজের দিন ভরদুপুর। ব্যস্ত রাস্তার ধারে বহুতলের উপর থেকে নীচে পড়ছে টাকার বান্ডিল। এমন দৃশ্য দেখে পথচলতি জনতার মধ্যে হুলস্থুল পড়ে গেল মধ্য কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এলাকায়।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ২৭ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে এম কে পয়েন্ট নামে একটি বহুতল থেকে আচমকাই টাকার বান্ডিল পড়তে শুরু করে। কয়েক জনের নজরে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই বহুতলটির নীচে অনেকেই জড়ো হন টাকা কুড়নোর জন্য। সাত তলার উপরের একটি জানালা থেকে ওই টাকা ফেলতেও দেখা যায় এক জনকে। নীচে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও অন্য কয়েক জন সেই টাকা কুড়িয়েছেন বলেও আশপাশের দোকানদাররা জানিয়েছেন।

ওই ভবনের উল্টোদিকের চায়ের দোকানদার রমেশ মাহাতো বলেন, ‘‘হঠাৎ করে দেখি দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। তাকাতেই দেখি উপর থেকে টাকা পড়ছে। বেশির ভাগ টাকাই বিল্ডিংয়ের পার্কিং এলাকায় পড়েছে। সেই টাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কুড়িয়ে নিয়েছেন। রাস্তাতেও পড়েছে। অনেকে কুড়িয়ে নিয়েছেন। উপরে এক ব্যক্তি যে জানালা দিয়ে টাকা ফেলছে, সেটাও দেখেছি আমরা। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ এসে কয়েক জনের কাছ থেকে অল্প কিছু টাকা উদ্ধারও করেছে।’’

Advertisement

ওই ভবন লাগোয়া ফল বিক্রেতা ত্রিবেণী পাণ্ডে। তি্নি বলেন, ‘‘হঠাৎই দেখি, আমার দোকান থেকে কিছুটা দূরে একটা ৫০০ টাকার নোট পড়ল। একটা ছেলে কুড়িয়ে নিল। উপরের দিকে তাকাতেই দেখি, আমার দোকানের পাশেই একটা গাছে ৫০০ টাকার নোটের একটা বান্ডিল আটকে রয়েছে। সেটা থেকেই খুলে খুলে পড়ছিল। তবে কার টাকা, কোথা থেকে এল, সে সব বলতে পারব না।’’

দেখুন ভিডিয়ো:

আরও পড়ুন: মধ্য রাতে ঘুম ভাঙিয়ে কেঁপে উঠল ঘর, মধ্যমগ্রামে দেওয়াল-ছাদ ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল লোহার পাইপ!

আরও পড়ুন: সারা দেশে এনআরসি হবে, ঘোষণা অমিতের, বাংলায় হতে দেব না, পাল্টা মমতার

কিন্তু কেন টাকা ফেলা হচ্ছিল? কারাই বা ফেললেন টাকা? ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর তারা জানতে পেরেছে, ওই বহুতলে কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর (ডিআরআই)-এর গোয়েন্দারা হানা দিয়েছিলেন। সাত তলার ৬০১ নম্বর ঘরে হক মার্কেন্টাইল নামে একটি সংস্থার অফিস রয়েছে। সেই অফিসে কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের গোয়েন্দারা হানা দিলে শৌচাগারের জানলা থেকে কেউ বা কারা টাকার বান্ডিল পেলে দিয়েছেন। বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement