CESC

CESC: গাফিলতি নেই বিদ্যুৎ সংস্থার, বলছে প্রাথমিক রিপোর্ট

গত মাসে প্রবল বর্ষায় বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে  একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র।

সম্প্রতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পর পর কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা দুই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এবং সিইএসসি-র গাফিলতিতে ঘটেনি বলেই প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি রাজ্যের। বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, সংযোগে কোনও সমস্যা ছিল না। তার পরে কোনও ত্রুটির কারণে তা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে।

Advertisement

কী ধরনের গাফিলতিতে এমন ঘটনা, তা খতিয়ে দেখতে দফতরের ‘চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইনস্পেকটর’ (সিইআই)-এর কমিটির কাছে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে বিদ্যুৎসচিব তথা রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেশ কুমারের নেতৃত্বাধীন কমিটি। পাশাপাশি, এ সব ক্ষেত্রে কী করণীয়, পুরসভা ও স্থানীয় প্রশাসনগুলিকে সেই নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর।

গত মাসে প্রবল বর্ষায় বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ সংযোগের কোনও গাফিলতির কারণে তা হয়নি বলে দাবি করে বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে আমরা বাড়ি পর্যন্ত সংযোগ দিই। ভিতরের তারের পরিকাঠামোর (ওয়্যারিং) দায়িত্ব আমাদের নয়। সবাইকে বলা হয়, প্রশিক্ষিত ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভাল ইলেকট্রিশিয়ানকে দিয়ে ওয়্যারিং-এর কাজ করাতে।’’
রাস্তার ধারের বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, সেগুলিও বিদ্যুৎ সংস্থার নয়। পুরসভা, পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় প্রশাসনের। সেখানে সংস্থা শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। সাম্প্রতিক সব ক’টি ঘটনার ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ সরবরাহে নয়, তার পরের ধাপে সমস্যা বলেই কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। তার ছিঁড়ে পড়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংস্থার দায়িত্বের প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মত অরূপবাবুর।

Advertisement

বিদ্যুৎসচিব জানান, বিদ্যুৎ-সুরক্ষার ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ বা গ্রাহকের তরফে কী দায়িত্ব, তা ঠিক করবে সিইআই-এর কমিটি।

অরূপবাবু জানান, রাস্তার বাতিস্তম্ভের ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার, তা নিয়ে প্রত্যেক পুরসভা, পঞ্চায়েত, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোনও ‘মিটার বক্স’ বা বাতিস্তম্ভের ‘জয়েন্ট বক্স’ খোলা থাকলে তা দফতরকে জানানোর জন্যও মানুষের কাছে আবেদন জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement