প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে কলকাতার মেট্রো প্রকল্পগুলির জন্য বরাদ্দে বিশেষ চমক দেখা গেল না। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী বাজেটে যেমন বরাদ্দের কথা বলা হয়েছিল, কার্যত সেই ধারা বজায় রেখেই এ বারও আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। ওই প্রকল্পে ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৯০৬ কোটি টাকা। তবে, বরাদ্দ বেশ খানিকটা বেড়েছে জোকা-মাঝেরহাট-এসপ্লানেড মেট্রো প্রকল্পের। রেল সূত্রের খবর, ওই মেট্রো প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোনোর কারণেই টাকা বাড়ানো হয়েছে।
চলতি বছরে জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারিত হয়েছে ওই পথে। মাঝেরহাট থেকে খিদিরপুর-মোমিনপুর হয়ে ওই লাইন কলকাতা ময়দান ছুঁয়ে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত পৌঁছনোর কথা। সেখান থেকে বর্তমান উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সমান্তরালে পৃথক লাইনে ওই মেট্রোপথ পৌঁছবে এসপ্লানেডে। মোমিনপুর থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত অংশ থাকবে মাটির নীচে। ওই অংশের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ওই মেট্রোপথে গত আর্থিক বছরের ৮০০ কোটি টাকার বরাদ্দ ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে ১২০৮.৬১ কোটি টাকা।
অন্য দিকে, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পে বিগত আর্থিক বছরে বরাদ্দ ছিল ১৭০০ কোটি টাকা। ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরে ওই মেট্রোর জন্য বরাদ্দ সামান্য বেড়ে হয়েছে ১৭৯১.৩৯ কোটি টাকা। তবে বরাদ্দ কমে গিয়েছে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পে। গত আর্থিক বছরে যেখানে বরাদ্দ ছিল ৩০৪.৮২ কোটি টাকা, চলতি বছরে তা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। রেল সূত্রের খবর, ওই প্রকল্পের কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে এসেছে। তবে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে যশোর রোড পর্যন্ত অংশের মধ্যে জমি নিয়ে অসুবিধা থাকায় কাজে বিলম্ব হয়। সেখানে এখন দ্রুত কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি, বরাহনগর-ব্যারাকপুর মেট্রো প্রকল্পের জন্য বাজেটে দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। তবে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সেক্টর ফাইভ থেকে হলদিরাম পর্যন্ত সম্প্রসারণের কোনও উল্লেখ এই বাজেটে নেই বলেই মেট্রো সূত্রে খবর।
রেলকর্তারা এ দিন বাজেটের বরাদ্দ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। সরকারি ভাবে পিঙ্ক বুকের তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই এ নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব বলে রেল সূত্রের খবর।