প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি আবাসনের পরে এ বার সরকারি আবাসনে বসানো হল সিসি ক্যামেরা। নিজেদের, বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নজরদারির এই ব্যবস্থা করলেন কাঁকুড়গাছি কেআইটি আবাসনের বাসিন্দারাই।
স্থানীয় একটি ক্লাব এবং ফুলবাগান থানাকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার তাঁরা সিসি ক্যামেরাগুলি বসান। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, কাঁকুড়গাছি মোড়ের বেশ কয়েকটি বেসরকারি আবাসনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে আগেই, কিন্তু কেআইটি-র মতো সরকারি আবাসনগুলিতে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। অথচ ওই চত্বরে প্রায় ৩০০টি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবগুলিতেই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বাস। সেখানে অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাও থাকেন। অথচ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য কোনও ব্যবস্থা এত দিন ছিল না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
গত কয়েক মাসে একাধিক ঘটনায় শহরে ছিনতাই বা খুনের সহজ শিকার হয়েছেন বয়স্কেরা। সম্প্রতি নেতাজিনগরের বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে নির্দেশ দেন, বয়স্কদের তালিকা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি, বাড়িতে কারা কাজ করছেন, কারা যাতায়াত করছেন সেই তালিকাও করতে হবে পুলিশকে। সেই নির্দেশের পরেই কলকাতা পুলিশ নিজদের থানা এলাকায় ঘুরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের তালিকা তৈরি করার কাজ শুরু করেছে। শুরু হয়েছে কোন কোন আবাসনে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, আর কোথায় নেই —সেই তালিকা তৈরির কাজও। সম্প্রতি কাঁকুড়গাছি এলাকায় ওই আবাসনেও একটি বাড়ি থেকে দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটে। যদিও এ ছাড়া ওই দিন আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এই সবের প্রেক্ষিতেই আবাসনের বয়স্কদের নিরাপত্তা বাড়াতে স্থানীয় ক্লাব ও থানাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে এলেন নিজেরাই।
রবিবার রীতিমতো কন্ট্রোল রুম তৈরি করে, মনিটর বসিয়ে সিসি ক্যামেরায় পুরো নজরদারি ব্যবস্থা করে ফেলা হল। কন্ট্রোল রুমটি স্থানীয় ক্লাবে। তবে ডিভিআরগুলি যাতে চুরি না হয়, তাই সেগুলিকে নিরাপদ স্থানে রাখার এ দিন পরামর্শ দিয়ে যায় ফুলবাগান থানার পুলিশ। থানা থেকে বলা হয়েছে, সেগুলি এমন জায়গায় রাখতে, যেখানে হাতে গোনা কয়েক জন ছাড়া বাইরের কেউ জানতে পারবেন না। এক বাসিন্দা ও স্থানীয় ক্লাবের সচিব রঞ্জিৎ দে জানান, এ দিন ওই আবাসনে ঢোকার গেটে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ক্যামেরা বসানো হয়েছে একটি মাঠ সংলগ্ন এলাকায়ও। পরে ওই আবাসনে আরও ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে।