—প্রতীকী চিত্র।
দু’মাস আগে থেকেই পুজো নিয়ে তৎপরতা শুরু করে দিল লালবাজার। সূত্রের খবর, পুজোর সময়ে শহর জুড়ে বিভিন্ন সংস্থা নিজেদের প্রচারে হোর্ডিং লাগায়। সেগুলির জন্য যাতে ট্র্যাফিক সিগন্যাল বা সিসি ক্যামেরার নজরদারি আটকে না যায়, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের সমস্ত ট্র্যাফিক গার্ডকে। বৃহস্পতিবার লালবাজারে ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি এবং এসিদের নিয়ে বৈঠক করেন ট্র্যাফিক পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। সেখানেই তাঁরা ওই নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, পুজোর প্রায় তিন সপ্তাহ আগে থেকেই শহর জুড়ে বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং লাগানো শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, পরিকল্পনাহীন ভাবে সেগুলি লাগানোর ফলে অসুবিধায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রতি বারই যা বুঝতে পেরে পুলিশ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে কথা বলে হোর্ডিং খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়। এ বার তাই আগেভাগেই বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড এলাকায় কোথায় রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ, তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে। পুজোর আগে কোনও রাস্তায় আলোর দরকার রয়েছে কিনা, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি কোন পুজো কী থিম করছে, দর্শক সামলানোর কী ব্যবস্থা করছে, সে বিষয়েও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে বৈঠকে। কয়েক বছর আগে দেশপ্রিয় পার্কের পুজোকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কলকাতার বড় একটি অংশে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, ওই পুজো কমিটি রাজ্য জুড়ে প্রচার করায় অস্বাভাবিক ভিড় হয়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, পুলিশকে বাধ্য হয়ে পুজোয় দর্শক ঢোকা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। পুলিশের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এ বার এলাকার কোন পুজো কমিটি কী পরিকল্পনা করেছে, তা আগেই জেনে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে।