প্রতীকী ছবি।
বাড়ি না কি স্কুল থেকে? কোথা থেকে দিতে চাও দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা? সম্প্রতি সিআইএসসিই বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলি তাদের পরীক্ষার্থীদের কাছে এটাই জানতে চেয়েছিল। শহরের বেশির ভাগ স্কুলের দশম ও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষার্থীরা জানাচ্ছে, তারা বাড়ি থেকেই পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক।
এ বার সিআইএসসিই বোর্ডের দশম শ্রেণির আইসিএসই এবং দ্বাদশের আইএসসি বোর্ডের পরীক্ষা দু’টি সিমেস্টারে ভাগ করে হচ্ছে। প্রথম সিমেস্টার শুরু হবে ১৫ নভেম্বর থেকে। সেই পরীক্ষা কী ভাবে হবে, তা নিয়ে সম্প্রতি বিস্তারিত নিয়মাবলী বিজ্ঞপ্তির আকারে প্রকাশ করেছে সিআইএসসিই বোর্ড। সেখানে বলা ছিল, দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা বাড়িতে বসে দেওয়া যেতে পারে। অথবা স্কুলে এসেও পরীক্ষার্থীরা দিতে পারে। কিন্তু যেখানেই দিক না কেন, পরীক্ষা হবে অনলাইনে, কড়া নজরদারিতে। পরীক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে, না কি স্কুলে এসে, কী ভাবে পরীক্ষা দেবে তা স্কুলকে জানাতে হবে। স্কুলে এসে পরীক্ষা দিতে চাইলে অভিভাবকের সম্মতি নিয়ে দিতে হবে।
অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি তাঁরা একটি অনলাইন ফর্ম পরীক্ষার্থীদের পাঠিয়েছিলেন। সেখানে বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীই জানিয়েছে, তারা বাড়ি থেকেই পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক। ডন বস্কো পার্ক সার্কাসের অধ্যক্ষ ফাদার বিকাশ মণ্ডল বলেন, “বেশির ভাগ পড়ুয়াই জানিয়েছে, বাড়ি থেকে দিতে চায়। আইসিএসই এবং আইএসসি মিলিয়ে হাতে গোনা কয়েক জন স্কুলে এসে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক বলেছে। আমরা স্কুলেও অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখব।”
লা মার্টিনিয়র স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, “আমাদের বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী জানিয়েছে ঘরে বসে পরীক্ষা দিতেই তারা স্বচ্ছন্দ। স্কুলে পরীক্ষা দিতে চাইলে অনলাইন সমস্ত পরিকাঠামোই রয়েছে। স্কুল নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হয়। যারা স্কুল থেকে পরীক্ষা দেবে, তাদের কোভিড-বিধি মেনেই বসতে হবে।” হেরিটেজ স্কুলের অধ্যক্ষ সীমা সাপ্রু জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এ নিয়ে তাঁরা অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষ মৌসুমী সাহা জানান, তাঁদের স্কুলেরও অনেক পরীক্ষার্থীই বাড়িতে বসে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক। মৌসুমীদেবী বলেন, “ওরা জানাচ্ছে, প্রায় দু’বছর ধরে ওরা বাড়ি থেকেই অনলাইনে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই ওই পরিবেশেই অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ মনে করছে।”
অধ্যক্ষদের মতে, শহরে সে ভাবে নেটওয়ার্কের সমস্যা নেই। তবে যারা স্কুল থেকে পরীক্ষা দিতে চাইছে, বাড়িতে নেটওয়ার্কের সমস্যার কথাই তারা জানিয়েছে। বোর্ড পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় নেটওয়ার্ক যাতে বাধা না হয়, তাই তারা স্কুলে এসে পরীক্ষা দিতে চায়। বহু অভিভাবকই জানাচ্ছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করে তাঁরাও বাড়ি থেকে পরীক্ষা দেওয়া বিষয়েই সম্মতি দিয়েছেন।