আরজি কর-কাণ্ডে তদন্তে সিবিআই। — ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডে সোমবার কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে গেল সিবিআইয়ের একটি দল। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে দক্ষিণ কলকাতার কিছু এলাকা ঘুরে সিবিআইয়ের ওই দলটি পৌঁছয় লালবাজারে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিতেই সেখানে গিয়েছেন তাঁরা। আরজি কর হাসপাতালে ঘটনার আগে অভিযুক্ত যে সব রাস্তায় যাতায়াত করেছেন, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে আগেই। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার আগে সেই রাতে যৌনপল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানকার রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজও সিবিআই সংগ্রহ করছে বলে সূত্রের খবর।
আরজি কর-কাণ্ডে এর আগে কলকাতা পুলিশের কয়েক জন আধিকারিক, এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল)-এর সদস্য এবং টালা থানার ওসি-কে তলব করেছিল সিবিআই। টালা থানার ওসি সিজিও দফতরে গিয়ে তদন্তের কিছু নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলেও দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।
সোমবার নির্যাতিতার বাড়িতেও যায় সিবিআইয়ের একটি দল। গত বৃহস্পতিবারও সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর। সে দিন মৃত চিকিৎসকের ডায়েরি, বইপত্র ঘেঁটে দেখেছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সোমবার কেন সিবিআইয়ের দল গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্য দিকে, সোমবার চতুর্থ বার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। কেন বার বার সন্দীপকে তলব করা হচ্ছে, তা-ও স্পষ্ট নয় এখনও।
এর আগে কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাকে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই ব্যারাকে নিয়মিত যাতায়াত ছিল ধৃতের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে আরজি কর থেকে সেখানেই গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেখান থেকে রাতে তাঁকে আটক করে কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।