সুদীপ্ত রায়। ছবি: ফেসবুক।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি (যিনি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলেরও সভাপতি) সুদীপ্ত রায়কে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে সিঁথিতে সুদীপ্তের নার্সিংহোম ও বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। প্রায় ঘন্টা চারেক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তদন্তকারীদের কথায়, চিকিৎসক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের দিন (৯ অগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আর জি করে ছিলেন সুদীপ্ত। এবং তাঁকে সেমিনার হলেও দেখা গিয়েছে বলে সূত্র রয়েছে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেও সুদীপ্ত পরিচিত। সন্দীপের বয়ানের ভিত্তিতেই সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, শাসক দলের শ্রীরামপুরের বিধায়ক এবং স্বাস্থ্য দফতরের হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্যও সুদীপ্ত।
পরে সাংবাদিকদের সুদীপ্ত বলেন,“আমি সিবিআইকে জানিয়েছি, সন্দীপ বেলা ১০টার পরে আমাকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। তাতে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। ওই দিনে কী হয়েছিল, সন্দীপ আমায় কী জানিয়েছিলেন— তদন্তকারীরা আমার কাছে সব জানতে চান। আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি।”
আর জি করের ঘটনাস্থলে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের উপস্থিতি বিষয়ে সুদীপ্ত বলেন, “ওঁরা ছিলেন কি না, বলতে পারব না। তবে অনেক জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসক গিয়েছিলেন।” ঘটনাটি শোনার পরে সুদীপ্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আর জি কর ইউনিটের সভাপতি আশিস পাণ্ডেকে ফোন করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেছেন, “ও শিয়ালদহে আছে বলে জানিয়েছিল। সভাপতি হিসেবে আশিস কলেজে যাবে, সেটাই স্বাভাবিক।” আর জি কর হাসপাতালের নতুন যন্ত্রপাতি তাঁর নার্সিংহোমে ব্যবহার করার অভিযোগ অবশ্য সুদীপ্ত অস্বীকার করেছেন।
সুদীপ্তের বাড়ি তল্লাশি নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, “উনি সব জানতেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সুদীপ্ত রায়কে হেফাজতে নেওয়া উচিত।”