ফাইল চিত্র
নারদ তদন্ত কেন থমকে রয়েছে? কোথায় সমস্যা? তদন্তকারী দলের কাছে ‘সদুত্তর’ না পেয়ে সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কলকাতা ছাড়ার আগেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তদন্তে ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না। দ্রুত তদন্ত শেষ করতেই হবে। এ বিষয়ে তিনি রিপোর্ট তলবও করেন।
এর পরেই নড়েচড়ে বসেন কলকাতার সিবিআই অফিসারেরা। তদন্ত কেন থমকে রয়েছে, দিল্লির সদর দফতরে সেই রিপোর্ট পাঠাতে গিয়ে খোদ নারদ নিউজ পোর্টালের প্রাক্তন সিইও ম্যাথু স্যামুয়েলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন তদন্তকারী দল।
তাঁদের দাবি, ম্যাথু তথ্য গোপন করেছেন। বিভ্রান্ত করেছেন। সে কারণে বেশ কিছু বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের সদর দফতরে সেই রিপোর্ট ‘লিগ্যাল সেল’-এর অফিসাররা খতিয়ে দেখবেন। তার পরেই তদন্তের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক হবে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে টেলি অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে ঢুকে হামলা, শ্লীলতাহানি
আরও পড়ুন: লেকগার্ডেন্সে রেললাইনে ফুটবলারের ক্ষতবিক্ষত দেহ
যদিও এ বিষয়ে ম্যাথু স্যামুয়েলের দাবি, ‘‘আমি কোনও অসহযোগিতা করেননি। সিবিআই যত বার ডেকেছে, গিয়েছি। ভিডিয়ো ফুটেজও জমা দিয়েছি। এমনকি, প্রভাবশালীদের থেকে শুরু করে এই স্টিং অপারেশনের সময় যারা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের কথাও বলেছি।’’ কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, এখনও ম্যাথুর কাছে কিছু অসম্পাদিত ফুটেজ রয়েছে। সেগুলি এখনও তদন্তকারী অফিসারদের হাতে আসেনি।
প্রায় এক বছর নারদ তদন্ত কার্যত থমকেই ছিল। ঘটনার পুর্নগঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েও তা মাঝপথেই আটকে যায়। প্রভাবশালীদের তলবের প্রক্রিয়াও বন্ধ রয়েছে। কেন এ ভাবে তদন্ত ধমকে গিয়েছে? কলকাতায় এসে আস্থানা তা নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা করেন। সে সময় বিভিন্ন কারণ তুলে ধরা হলেও তিনি সন্তুষ্ট হননি। তখন ম্যাথু যে অসহযোগিতা করছেন, তা-ও জানায় তদন্তকারী দল। দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার সময় তিনি, নারদ তদন্তের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেন।
এরই মধ্যে সিবিআইয়ের পদস্থ অফিসার অভয় সিংহকে বদলি করে দেওয়া হয়। যদিও তার এই বদলি রুটিন মাফিকই হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নারদ তদন্তের একটি স্পেশাল রিপোর্ট পৌঁছল দিল্লিতে। এই তদন্তের দায়িত্বে (আইও) রয়েছেন রঞ্জিত কুমারের নেতৃত্বে বিশেষ দল।
দিল্লিতে পাঠানো রিপোর্টের পর্যালোচনার পর, কী নির্দেশ আসে? সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কলকাতার অফিসারেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, নারদ তদন্ত এ বার দিল্লি থেকেই নিয়ন্ত্রিত হবে। শুধু তাই নয়, সময়মতো তদন্ত রিপোর্টও পাঠাতে হবে বলে জানা গিয়েছে।