অনর্থ: একের পর এক এটিএমে ঝুলছে টাকা না থাকার নোটিস। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জায়গায়। নিজস্ব চিত্র
মাসের প্রথমেই শহরের এটিএমে নোটের জোগানে টান। এর ফলে বেশ কিছু দিন পরে ফের এটিএমে গিয়ে বহু গ্রাহককে শূন্য হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার নতুন মাসের দ্বিতীয় দিনেই মাইনের টাকা তুলতে গিয়ে টাকার গাড়ি আসার অপেক্ষায় বহু মানুষকে এটিএমের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
অবশ্য নোটের জোগানের অভাবের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এই দিন আরবিআইয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্তা আলপনা কিলাওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, নোটের জোগানে কোনও অভাব নেই।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোটের জোগানে টানের কথা অস্বীকার করলেও ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, এক দিকে মাসের খরচ চালানোর জন্য গ্রাহকদের মধ্যে নগদ টাকা তোলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, অন্য দিকে সম্প্রতি এটিএম থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি— প্রধানত এই দুটি কারণেই এটিএমের উপর চাপ বেড়েছে। কিন্তু তা সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট নোটের জোগান না-থাকার ফলেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও একটি কারণে এটিএম থেকে টাকা তোলার বহর বেড়েছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। একটি অগ্রণী বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক উচ্চপদস্থ অফিসার বলেন, নোটের জোগান যখন কম ছিল, তখন নগদের তুলনায় ডিজিটাল ব্যবস্থায় লেনদেন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নোটের জোগান বাড়ার পর নগদ টাকায় লেনদেনের প্রবণতা মানুষের মধ্যে ফের বাড়ছে। আর নগদের সন্ধানে টাকা তোলার বহরও বাড়ছে।
এ ছাড়া নোট-কাণ্ডের পরে নগদ টাকা প্রয়োজনের সময় হাতে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই আতঙ্ক এখনও পুরোপুরি কাটেনি। এক ব্যাঙ্ক অফিসার জানান, তাই এটিএম থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বাড়ার সুযোগ পুরোটা নিয়ে অনেক গ্রাহকই বেশি করে টাকা তুলে বাড়িতে রাখছেন।