ফাইল চিত্র।
যশোর রোড, ভিআইপি রোড, বিশ্ব বাংলা সরণি-সহ বিধাননগর কমিশনারেটের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু রাস্তায় একই সঙ্গে বিভিন্ন গতির গাড়ি চলে। কম গতির যানবাহনের জন্য এখনও পর্যন্ত আলাদা কোনও লেন নেই সেখানে। যার জেরে প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে পৃথক লেন তৈরি করার কোনও উপায় নেই। তবে কম গতির গাড়ির জন্য অন্যান্য গাড়ির যাতে অসুবিধা না হয়, তার উপায় বার করার চেষ্টা চলছে।
কিছু দিন আগে যশোর রোডে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক সাইকেল আরোহীর। ভিআইপি রোড কিংবা বিশ্ব বাংলা সরণিতেও এমন ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। গাড়িচালকেরা জানান, ওই সমস্ত রাস্তায় যে কোনও গাড়িই অন্তত ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে চলে। সেখানে আচমকা সামনে সাইকেল, রিকশা কিংবা টোটো জাতীয় গাড়ি এসে পড়লে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এলাকাবাসীর একাংশের মতে, সাইকেল, রিকশা বা টোটোচালকদের অধিকাংশই সিগন্যাল মানেন না। তাই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। বিশেষত, ই-রিকশা জাতীয় গাড়ির ক্ষেত্রে ওই আশঙ্কা খুব বেশি থাকে। সাধারণ রিকশা বা সাইকেলের তুলনায় ই-রিকশার গতি অনেকটাই বেশি থাকে। তবে গাড়ির তুলনায় তা বেশ কম।
তুষার বসু নামে এক সাইকেল আরোহীর বক্তব্য, বাধ্য হয়েই তাঁকে ওই সমস্ত বড় রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। কারণ, কম গতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেন নেই। তাঁরা মূলত রাস্তার বাঁ দিক ধরেই চলাচল করেন। কিন্তু রাস্তা পারাপারের সময়ে সমস্যা দেখা দেয়।
শুধু মূল রাস্তাই নয়, সল্টলেক, নিউ টাউন থেকে শুরু করে বাগুইআটি, কেষ্টপুরের মতো এলাকার ভিতরের রাস্তাতেও সমস্যা কমবেশি এক। সেখানে আবার কম গতির যানবাহনের চালকদের অভিযোগ, দ্রুত গতির গাড়িগুলি পাড়ার মধ্যেও খুব জোরে চলে।
বাসিন্দাদের তাই প্রশ্ন, লেন আলাদা করা হচ্ছে না কেন?
ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘শুধু লেন ভাগ করলেই হয় না। তার জন্য বিশেষ ধরনের পরিকাঠামো প্রয়োজন।’’ আর এক ট্র্যাফিক-কর্তা জানান, লেন ভাগ করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। আপাতত বাসগুলিকে একটি লেন ধরে চালানোর চেষ্টা চলছে। পর্যায়ক্রমে অন্য গাড়ি চলাচলও নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।