—প্রতীকী চিত্র
বিরোধীদের ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের দাবি নাকচ করে আগামী পুর নির্বাচনের প্রার্থী সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল হাওড়া জেলা প্রশাসন। খসড়া তালিকায় যে সংরক্ষণ করা হয়েছিল, চূড়ান্ত তালিকায় তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ বার অপেক্ষা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়ে গিয়েছে নির্বাচিত পুর বোর্ডের মেয়াদ। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হাওড়া পুরসভার কাজ পরিচালনা করছিল প্রশাসক মণ্ডলী।
বুধবার, ৮ জানুয়ারি ছিল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দিন। ওই দিন তালিকা প্রকাশ করেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, হাওড়া পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি মহিলাদের জন্য এবং দু’টি তফশিলি জাতির জন্য, যার একটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। নতুন তালিকা অনুযায়ী, জিতে আসা নিজেদের ওয়ার্ডে আর প্রার্থী হতে পারবেন না ১৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ায় মহিলা সংরক্ষণের পুনর্বিন্যাসে কপালে ভাঁজ ২০১৩ সালে পুরভোটে জয়ী একাধিক কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদের। চুড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী যে ১৩ জন কাউন্সিলর তাঁদের জিতে আসা ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, তাঁদের স্ত্রী বা আত্মীয়াদের আদৌ ওই আসনে প্রার্থী করা হবে কি না, অন্যান্য বারের মতো এ বারও তা দল ঠিক করবে।
২০১৩ সালে দীর্ঘ বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে পুর বোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসনে জয় পায় তারা। কংগ্রেস তিনটি, বাম ও বিজেপি দু’টি করে আসন দখলে নেয়। পরবর্তীকালে কংগ্রেসের তিন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। তখন তৃণমূলের আসন হয় ৪৬। ২০১৫ সালে বালি পুরসভার ১৬টি হাওড়া পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। হাওড়া পুরসভার মোট ওয়ার্ড হয় ৬৬টি। ১৬টি আসনে ভোট হলে তৃণমূল সব ক’টিতে জয়ী হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২টি। বিজেপি এবং বামফ্রন্টের দখলে থাকে দু’টি করে আসন।
আগামী দশ সপ্তাহ পরে নির্বাচনের চুড়ান্ত দিন ঘোষণা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ভোট কিছুটা পিছোলেও সম্ভবত এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।