জীর্ণ: পাইপ বহনকারী এই সেতু নিয়েই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। নিজস্ব চিত্র
লোহার যে কাঠামোর উপর দিয়ে পানীয় জলের পাইপলাইন গিয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে সেটি। তাতে বিপর্যস্ত হতে পারে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা। এমনই হাল উত্তর কলকাতার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের দিক থেকে ক্যানাল ইস্টের দিকে যাওয়া পাইপলাইনের কাঠামোর। লোহায় মরচে ধরে দুর্বল হয়ে গিয়েছে সেটি। যার জেরে আতঙ্কে রয়েছেন পুর ইঞ্জিনিয়ারেরাও। কাঠামোটি ভেঙে পড়লে কী হতে পারে? পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে পুরসভার ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ কর হয়। সেটি ভেঙে পড়লে ওই দুই ওয়ার্ডে জল পাবেন না বাসিন্দারা।
পুরসভা সূত্রের খবর, টালা ট্যাঙ্ক থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয় উত্তর ও পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার জন্য ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপলাইন রয়েছে। টালা থেকে সরাসরি পানীয় জল ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে চলে যায় অরবিন্দ সেতুর নীচ থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায়। ওই পাইপলাইন ক্যানাল ওয়েস্ট রোড থেকে খালের উপর দিয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই সেখানে প্রায় ৮০ মিটার দীর্ঘ একটি লোহার সেতু তৈরি
করেছিল কেএমডিএ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, পাইপলাইন যে লোহার সেতুর উপর দিয়ে গিয়েছে, সেটির অনেক জায়গা ক্ষয়ে গিয়েছে। বেশি চাপ পড়লে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের জানিয়েছি। ওই দু’টি ওয়ার্ড কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর বরোর অধীনে।’’ বরোর এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, পরিস্থিতি খুব খারাপ। বরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্য রাউতকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বরো চেয়ারম্যান জানান, খালের উপরে থাকা পাইপ বহনকারী ওই সেতুর ছবি তোলা হয়েছে। সেই ছবি মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও পুর কমিশনারকে দেখানো হয়েছে। ছবি দেখে বিস্মিত হন মেয়র। কেএমডিএ কেন ওই সেতুর উপরে নজর রাখেনি, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। দ্রুত ওই সেতুটি মেরামত বা প্রয়োজনে নতুন করে গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। তবে কাজ কবে শুরু হবে, তা নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা।