ফাইল চিত্র।
তৃতীয় দিনেও পরীক্ষা দিতে এলেন না কোনও পড়ুয়া। পর পর তিন দিন তাঁরা গরহাজির থাকায় যথেষ্ট বিরক্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি তোলা হলে, ওই ২৫০ জন পড়ুয়াকে অনুপস্থিত বলে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেই জানানো হয়। তবে ফের ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
কিন্তু শুধুই কি করোনার ভয়, না অন্য কোনও কারণে ওই পড়ুয়ারা পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলেন— তার কারণ খতিয়ে দেখতে এক জন শিক্ষক-চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি দু’-তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে রিপোর্ট দেবেন। অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র বলেন, ‘‘বিষয়টি বৈঠকে জানানো হয়েছে। কেউ যদি পরীক্ষা না দেন, তাঁদের অনুপস্থিত দেখাতে বলা হয়েছে।’’ ফের কি এই পরীক্ষা নেবে কলেজ? মেডিক্যালের এক কর্তার কথায়, ‘‘কেউ অবাধ্য হলে শাসন করতে হয়। এখানেও শাসনের মধ্যেই রাখা হবে। সেটা হল, পরীক্ষায় অনুপস্থিত হিসাবে বিবেচিত করা। এর পরে মৌখিক ও প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। দেখা যাক, তাতে কী হয়।’’
এক প্রবীণ চিকিৎসকের কথায়, ‘‘যাঁরা পড়াশোনা নিয়ে এমন করতে পারেন, তাঁদের অনুপস্থিত দেখানোর মনোভাবেই স্থির থাকা উচিত।’’ উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা ছিল। যে হেতু মেডিক্যালের ১৪ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের জন্য আলাদা পরীক্ষা-কক্ষের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বাকিদের জন্য র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার বন্দোবস্ত ছিল। যাঁদের পজ়িটিভ আসবে, তাঁদের জন্য আলাদা ঘর ঠিক ছিল। তবে কেউ আসেননি।