ধর্মতলা বাস টার্মিনাস। ফাইল চিত্র।
ধর্মতলা থেকে বাস টার্মিনাস সরানো এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশ দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২৫ এপ্রিল ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যে রাজ্যকে নিজের বক্তব্য হলফনামার আকারে জানাতে হবে।
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত ২০০২ সালে ময়দানের দূষণ এবং ভিক্টোরিয়ার মতো ঐতিহাসিক সৌধের ক্ষতি নিয়ে মামলা করেন। সেই মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। সুভাষবাবুর দায়ের করা মামলার শুনানিতেই এ দিন ওই নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ধর্মতলা থেকে বাস টার্মিনাস সরাতে বলেছিল হাই কোর্ট। তার জন্য ছ’মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। পরে রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট ছ’মাসের সময়সীমা তুলে দিলেও বাস টার্মিনাস সরানোর নির্দেশ বহাল রাখে। কিন্তু তার পরে এক দশক পেরোলেও বাস টার্মিনাস সরেনি। হাই কোর্টে মূল মামলাটির যে হেতু নিষ্পত্তি হয়নি, তাই ফের সেটির শুনানি শুরু হয়েছে।
এ দিন সুভাষবাবু আদালতে জানান, কলকাতায় বায়ুদূষণ ক্রমাগত বাড়ছে। ময়দান হল শহরের ফুসফুস। ক্রীড়াক্ষেত্রও বটে। তাই ময়দান দূষিত হলে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। সূত্রের খবর, এই মামলায় এর আগে হাই কোর্ট ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (নিরি)-কে দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছিল এবং তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ময়দানের মতো ভিক্টোরিয়ার ক্ষতি ঠেকাতে ওই চত্বরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছিল। ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষকে বনসৃজনের মাধ্যমে একটি সবুজের বলয় বা ‘গ্রিন বেল্ট’ তৈরি করতেও বলা হয়। ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষ সেই কাজ করেছেন কি না, সে ব্যাপারেও জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। আগামী শুনানির দিন ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষকে বক্তব্য পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।