Calcutta High Court

শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল হাই কোর্ট, জামিন হল তিন অভিযুক্তের

২০২৩ সালের ৮ অগস্ট বহরমপুরে এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়। এর পর নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, ওই ঘটনাটি নিম্ন আদালতকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। খতিয়ে দেখতে হবে অভিযোগকারিণীর ভূমিকাও। ভবিষ্যতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে আদালত।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালে। গত বছর ৮ অগস্ট মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। ঘটনায় পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়। এর পর নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত এক বছর ধরে তাঁরা জেলেই রয়েছেন। অভিযুক্তেরা জামিনের আবেদন করলে সেই আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে নিম্ন আদালত। শেষমেশ ওই তিন জন হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

প্রথম থেকেই অভিযু্ক্তদের বক্তব্য ছিল যে, তাঁরা এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন, তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। মঙ্গলবার হাই কোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই বিচারপতিরা জানতে পারেন, নির্যাতিতাকে চাপ দিয়ে গোপন জবানবন্দিতে মিথ্যা অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পুরো বিষয়টি শুনে বিস্মিত দুই বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটি মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জন এক বছর ধরে জেল খাটলেন।’’

Advertisement

বিষয়টি জেনে মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে উচ্চ আদালত। ওই তিন অভিযুক্তের জামিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি অসত্য। তার বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। আদালতকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘আমরা আশা করব, নিম্ন আদালতের বিচারক বিচারের সময় সামগ্র বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement