— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে হকারেরা আপাতত থাকবেন। তবে তাঁদের জন্য ফুটপাতের যে এক-তৃতীয়াংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যেই পসরা সাজিয়ে বসতে হবে। সোমবার ওই জায়গায় হকার সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। প্রসঙ্গত, ওই হোটেলের সামনে ফুটপাতের দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা পথচারীদের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ এলাকা হকারদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে পুলিশ, পুরসভা এবং টাউন ভেন্ডিং কমিটি।
ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেল হেরিটেজ সৌধ। ওই ইমারতের সামনের ফুটপাত কার্যত পুরো হকারদের দখলে চলে গিয়েছিল। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সমারোহে পথচারীদের যাতায়াতের উপায় ছিল না। ওই হকারদের উচ্ছেদের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় এ দিন ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি সিংহ। প্রসঙ্গত, ওই জায়গার হকারেরা বিদ্যুৎ চুরি করেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। সিইএসসি অবশ্য জানিয়েছে, ওই হকারেরা বিদ্যুৎ চুরি করেন না। তাঁদের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দু’টি মিটার বসানো আছে।
কোর্টের এই নির্দেশের ফলে আপাতত স্বস্তি পেলেও ধর্মতলা দিয়ে নিত্য যাতায়াত করা পথচারীদের অনেকের অবশ্য প্রশ্ন, ফুটপাতের এক-তৃতীয়াংশে হকারেরা আবদ্ধ থাকবেন তো? না কি, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই ফের ফুটপাত দখল হয়ে যাবে?