ধনখড়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। ফাইল ছবি।
রাজ্যপালের পদে থেকে সাংবিধানিক এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন জগদীপ ধনখড়। এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। শুক্রবার ওই মামলা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে করা মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তা ছাড়া সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যপালের কাজে আদালত কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এও জানায়, সংবিধান রাজ্যপালকে যে অধিকার দিয়েছে তাতে তিনি আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। এর পরেই সংশ্লিষ্ট মামলা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
কী ভাবে এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারেন রাজ্যপাল, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়। শুক্রবার মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট জানায়, সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এ রকম কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না তারা। এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল আইনজীবীর কাছে মোটা অঙ্কের জরিমানা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। তাঁর দাবি, নিছক প্রচার পাওয়ার জন্য এ রকম মামলা দায়ের হয়েছে। তবে মামলা খারিজ করে দিলেও আইনজীবীকে কোনও আর্থিক জরিমানা করেনি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
গত কয়েক দিনে তুঙ্গে উঠেছে রাজ্য ও রাজ্যপাল সঙ্ঘাত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন টুইটারে তিনি ব্লক করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। কয়েক দিন আগেই রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি জানিয়ে রাজ্যসভায় সাবস্টেনসিভ মোশন আনার প্রস্তাব দেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তার আগে সংসদে রাজ্যপালকে সরানোর আবেদন করেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ধনখড়কে নিয়ে নালিশ ঠোকেন সাংসদ সৌগত রায়।