কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে খুনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, ডোমজুড় থানা তাঁর অভিযোগকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। ঘটনার পরে প্রায় দশ মাস কেটে গেলেও তদন্ত গতি পায়নি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পীনাক্ষী লাহা নামে ওই মহিলা। চলতি সপ্তাহেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, দু’মাসের মধ্যে হাওড়ার ডোমজুড় থানাকে ওই তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে। স্বামীর ময়না তদন্তের রিপোর্টের প্রতিলিপি দিতে হবে পীনাক্ষীকেও।
পীনাক্ষীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীপা আচার্য জানান, গত ৩০ অগস্ট মহিলার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময়ে পীনাক্ষী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার আগের দিন পীনাক্ষীর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর স্বামীকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের কাছে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও পীনাক্ষী এই অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ আত্মহত্যার মামলা রুজু করে। যদিও পীনাক্ষী তেমন লেখাপড়া না-জানায় পুলিশ তাঁকে দিয়ে ইচ্ছে মতো বয়ান লিখিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর আইনজীবীরা তাই দ্রুত তদন্ত এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট চেয়েছিলেন।
আইনজীবীদ্বয় বিক্রম এবং দীপা জানান, ঘটনার পরে দুই নাবালক সন্তান-সহ পীনাক্ষীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়।আদালতে অবশ্য শ্বশুরবাড়ির আইনজীবী জানিয়েছেন যে, পীনাক্ষী শ্বশুরবাড়ি ফিরতে পারেন। সম্পত্তির ভাগ হয়েছে এবং পীনাক্ষীর স্বামীরও তাতে ভাগ আছে। পুত্রবধূ এবংতাঁর দুই সন্তানের খেয়াল রাখবে বলেও আদালতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লাহা পরিবার।
বিচারপতি সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে এ-ও নির্দেশ দিয়েছেন যে, মামলাকারী শ্বশুরবাড়িতে ফেরার পরে কোনও রকম বিপদের আশঙ্কা করলে সরাসরি হাওড়ার নগরপালকে জানাবেন এবং নগরপাল বিষয়টি অনুসন্ধান করে যথাযথ পদক্ষেপ করবেন।