ফাইল চিত্র
ন’বছর আগের একটি খুনের তদন্ত ছ’মাসে শেষ করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ছেলের মৃত্যুর কারণ জানার অধিকার রয়েছে বাবার। একটি খুনের ঘটনার তদন্ত সংক্রান্ত আপিল মামলায় বুধবার ওই পর্যবেক্ষণ করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১১ সালে বরাহনগরের বাসিন্দা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তাঁর বাবা সমরেশ মৃধা সিআইডি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন এবং সিবিআই তদন্ত চান। গত মে-তে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
সমরেশবাবুর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জুনিয়রের মৃত্যুতে যাঁদের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ হয়েছিল তাঁরা ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা দায়ের করেন। এ দিন সেই মামলার রায় দেয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা সিবিআই তদন্ত বহাল রেখে ছ’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন।
আইনজীবীরা জানান, জুনিয়র অফিস থেকে ফিরে কারও টেলিফোন পেয়ে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পরে তাঁর বাবাকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর ছেলে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। সমরেশবাবু হাসপাতালে গিয়ে ছেলের মৃতদেহে গুলির চিহ্ন পান।
আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ জানান, ব্যারাকপুর আদালতে সিআইডি একটি রিপোর্ট পেশ করে জানায়, জুনিয়রকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কারা খুনি তা সিআইডি জানাতে পারেনি। এমনকি খুনের ঘটনায় যাঁরা জড়িত থাকতে পারেন বলে ওই যুবকের বাবার মনে হয়েছিল, তাঁদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয় সিআইডি। তাঁদের মধ্যে ময়দানের বড় একটি ক্লাবের প্রাক্তন কর্তা তথা শিল্পপতিও রয়েছেন।