ফাইল চিত্র।
প্রায় এক দশক আগে সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছিলেন শহরের এক তরুণী। সেই ঘটনায় তদন্ত শেষ করে চার্জশিটও দেয় সিআইডি। কিন্তু এখনও তার বিচার শেষ হয়নি। দ্রুত বিচারের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তরুণীর বাবা। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, দু’মাসের মধ্যে বিচার-পর্ব শেষ করতে হবে। কোন আদালতে বিচার হবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এই মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০১১ সালে ওই তরুণী ভিন্ রাজ্যের একটি আইন কলেজে পড়াশোনা করতেন। সে সময়ে তাঁর নামে ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে ছবি বিকৃত করা হয় এবং কদর্য কথাবার্তা প্রচার করা হয়।
সেই ঘটনার তদন্তভার প্রথমে যাদবপুর থানা (সে সময়ে রাজ্য পুলিশের অধীনে ছিল) এবং পরে সিআইডি হাতে নেয়। ২০১২ সালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত ইত্যাদির পরে চার্জশিটও দেওয়া হয়। ২০১৬ সাল থেকে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়।
আদালত সূত্রের খবর, ঢিমেতালে শুনানি চলছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বেও দেরি হয়েছে। তার পরে অতিমারি পরিস্থিতিতেও শুনানি থমকে যায়। এর পরেই তরুণীর বাবা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি নিজেই মামলাটির সওয়াল করেছেন। আদালত সূত্রের খবর, মামলাটির বিচারের দায়িত্বে থাকা বিচারক ব্যক্তিগত কারণে
ছুটিতে ছিলেন। হাইকোর্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিচারকের কাছে জানতে চায় কোন কোন আদালত এই মামলার বিচার করার জন্য প্রস্তুত। জেলা বিচারক তাঁর রিপোর্টে কয়েক জন বিচারকের এজলাস চিহ্নিত করেন। তার মধ্যে দু’নম্বর বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে এই মামলার বিচার হবে বলে হাইকোর্ট নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
এই মামলায় অভিযুক্ত পক্ষের কৌঁসুলি অনির্বাণ গুহঠাকুরতাও বলেন, ‘‘মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ শিরোধার্য। দ্রুত বিচার শেষ করার ক্ষেত্রে আমরাও সব রকমের সহযোগিতা করব।’’
আইনজীবীদের অনেকেই বলছেন, এ রাজ্যের বহু নিম্ন আদালতেই বহু মামলা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে। এর আগে অন্যান্য মামলাতেও হাইকোর্টের সামনে তা উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার টাটা ট্রাস্ট প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস ২০২০’ রিপোর্টেও মামলা বকেয়া থাকার কথা উঠে এসেছে।