পার্থের মন্ত্রিত্ব থেকেও ইস্তফা দেওয়া উচিত, ব্যক্তিগত মত বিচারপতির। ফাইল চিত্র।
এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যাবতীয় সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলায় পার্থকে ‘পার্টি’ করার নির্দেশ দেয় আদালত। এই শুনানি চলাকালীন মন্ত্রীর আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব পেশ করা হোক। তাঁর সারমেয়র জন্য যে ফ্ল্যাট আছে, আমার কাছে ঠিকানা আছে। নাকতলায় ফ্ল্যাট আছে, সেটা দ্বিতল। তার হিসাবও পেশ করা হোক। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’’ তিনি এও বলেন, ‘‘যদি কোনও দিন সুযোগ হয় পুরো গাঁধী পরিবারের সম্পত্তির হিসাব চাইতে পারি।’’
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও মন্তব্য করেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল গাঁধীর টাকার উৎস কী? তাঁরা কোথা থেকে টাকা পান?’’ তিনি জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলে নিজের ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি বলেন, ‘‘পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নেতারা পদত্যাগ করেছেন। লালবাহাদুর শাস্ত্রী ৫৫ বছর আগে এর উদাহরণ স্থাপন করেছেন। বাংলা পারছে না।’’ এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সংযোজন, ‘‘পার্থবাবু শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। রবিন দেব এবং দিলীপ ঘোষের ভাল বন্ধু। দৃঢ়তা দেখাতে পারছেন না?’’ তিনি এও জানান, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওএসডি এবং আপ্ত সহায়ক ছিলেন। তাঁরা সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রিপোর্ট করতেন। তাই ওই কমিটির বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না, এটা আমি বিশ্বাস করি না।’’ এর পর মন্ত্রীর যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব হলফনামা আকারে আদালতে দিতে পারবেন কি না, তাঁর আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী জানান, এ ব্যাপারে নির্দেশিকা এলে তা দেখা যেতে পারে।
এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও বলেন, ‘‘সব দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক। এটা আমি চাই।’’