—প্রতীকী চিত্র।
ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের আগের দিন হাওড়া স্টেশন থেকে ‘ছাত্র সমাজের’ চার নেতার গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। এই বিষয়ে পুলিশ যথাযথ কাজ করেনি বলে জানায় উচ্চ আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি ছিল।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ২৭ অক্টোবর নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। ওই দিন সকালেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, চার ছাত্রনেতার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের গ্রেফতার বা আটক করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। পরে রাজ্য পুলিশের সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডল থেকে জানানো হয়েছিল, ‘লাশ ফেলে দেওয়ার ছক’-এ জড়িত থাকার কারণে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
গত ৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ভরদ্বাজ তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ওই গ্রেফতারি আইন মেনে হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। পাল্টা হলফনামা দিতে বলা হয় মামলাকারীদেরও। বিচারপতি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে, তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হল? পুলিশের কাছে কী অভিযোগ ছিল, কোথা থেকে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল হাই কোর্ট।