অসাধু চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি এলাকায়। প্রতীকি ছবি।
পড়ুয়াদের পড়াশোনা ও হস্টেল খরচ বাবদ বৃত্তির টাকা পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই টাকা হাতে পাচ্ছেন না পড়ুয়ারা। অসাধু উপায়ে মাঝ পথেই তা উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এমনই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে ওই জেলার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে জেলাশাসককে।
মামলাকারীর অভিযোগ, সংখ্যালঘু ও বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের জন্য প্রতি বছর বৃত্তি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই বৃত্তির টাকা পৌঁছচ্ছে না। এক শ্রেণির অসাধু লোক ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে তা আত্মসাৎ করছেন। এমনই চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি এলাকায়। শুক্রবার ওই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট জানায়, এই ধরনের অসাধু চক্র চলতে পারে না। কারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে হবে প্রশাসনকে। আসল উপভোক্তারা কেন সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে জেলাশাসককে। এ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে আদালতে জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২৪ নভেম্বর ধার্য হয়েছে।
জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী শুভ্রপ্রকাশ বলেন, ‘‘যোগ্য নন এমনই অনেকেই কারচুপি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ফলে যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা শুধু একটা জেলার সমস্যা নয়, রাজ্যের অনেক জেলাতেই এমন পরিস্থিতি রয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে সব উঠে আসবে।’’