কয়লা-কাণ্ডে অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর শ্যালিকাকেও তলব করে ইডি। ফাইল চিত্র।
দিল্লি নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে তা কলকাতাতেই করতে হবে। বুধবার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চের নির্দেশ, ইডির আঞ্চলিক অফিস কলকাতাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তা ছাড়া, মেনকার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না তদন্তকারী সংস্থা।হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ইডির তরফে যে গোপনীয় নথির যুক্তি খাড়া করা হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তথ্য বা নথি দিল্লি থেকে কলকাতা আনা যাবে না, এই যুক্তিও আদালতের কাছে টিকছে না। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সমন পাঠিয়েছে ইডি। তাঁকে আগামী ২৮ অগস্ট সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, তাঁর শ্যালিকা মেনকাকেও দিল্লিতে তলব করা হয়। এর পরই রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মেনকা।
আদালতে মেনকার আইনজীবী সওয়াল করেন, সংশ্লিষ্ট মামলায় মেনকা অভিযুক্ত নন। তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অথচ এই ঘটনার সঙ্গে দিল্লির কোনও সম্পর্ক নেই। কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অসুবিধা নেই। আইনজীবী বলেন, ‘‘তথ্য নেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে, এমনটাই বলা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা হওয়ার জন্য রাজনৈতিক অভিসন্ধিও থাকতে পারে। একই অভিযোগে অভিষেক, তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুমিত রায়কে আদালতের নির্দেশে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’
অন্য দিকে, ইডির আইনজীবী সওয়াল করেন, গরু এবং কয়লা পাচার মামলায় দিল্লির অফিসাররা তদন্ত করছেন। এটা শুধু কলকাতার বিষয় নয়, সারা ভারতের বিষয়। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, ‘‘মামলাকারী যদি কলকাতার অফিসে যান, তাতে কী অসুবিধা রয়েছে?’’ যার প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী জানান, এই দুই ঘটনায় কলকাতায় মামলা করেছে সিবিআই। কিন্তু ইডি আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে দিল্লিতে মামলা ‘রেজিস্টার’ করে। যদিও দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর আদালত জানায়, কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ইডিকে।