কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ফের দুর্গাপুজো করার অনুমতি পেল যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি। উত্তর কলকাতার মসজিদবাড়ি স্ট্রিটে পুজো করতে চেয়ে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছিল দুর্বার। কিন্তু প্রশাসন তা মঞ্জুর করেনি। তা নিয়ে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলা দায়ের করে ওই সংগঠন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বসাক জানিয়েছেন, ওই রাস্তায় প্রশাসনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গায় পুজো করা যাবে। মানতে হবে পুজোর সব নির্দেশও।
দুর্বারের আইনজীবী অর্পিতা চৌধুরী জানান, আদালত নির্দেশ দিয়েছে, নির্দিষ্ট জায়গায় পুজো করতে হবে। লক্ষ্মীপুজোর তিন দিনের মধ্যে মণ্ডপ খুলে ফেলতে হবে। ২০১৩ সাল থেকেই যৌনপল্লির ভিতরে দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পুলিশ-প্রশাসন। তখনও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংগঠনটি। এ বারও পুজোর অনুমতির জন্য আর্জি জানাতেই তা নাকচ করে দেয় প্রশাসন। শেষমেশ তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ দুর্বার।
এ দিন হাইকোর্টের নির্দেশের পরে খুশি দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সদস্যরা। সংগঠনের মেন্টর ভারতী দে বলেন, ‘‘২০১৩ সাল থেকেই বাইরে পুজো করার ইচ্ছে আমাদের। তাতে সদস্যেরা উৎসবের আনন্দ নিতে পারবেন।’’ এ বার পুজোর জন্য ২০ ফুট লম্বা ও ৮ ফুট চওড়া জায়গা মিলেছে। এই জায়গা পুজোর জন্য খুবই ছোট বলে কিছুটা আক্ষেপও করছেন সংগঠনের সদস্যরা।
অর্পিতাদেবী জানান, মামলার প্রথম শুনানির পরে প্রশাসন এবং সংগঠনকে বৈঠকে বসতে বলে আদালত। সেই বৈঠকে স্থির হয়, মসজিদবাড়ি স্ট্রিটে ৮ ফুট চওড়া ও ২০ ফুট লম্বা মণ্ডপ করা যাবে। দমকলকে সেই জায়গা চিহ্নিত করে দিতেও বলা হয়। সেই জায়গায় পুজো করা হবে বলে লিখিত ভাবে জানানো হয়। তিনি বলেন, মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মানতে হবে। মণ্ডপ বা তার আশপাশে জলসা করা যাবে না। উৎসবের দিনগুলিতে তৈরি হওয়া বর্জ্য প্রতিদিন সাফ করতে হবে। এ সব নির্দেশ পালন করা হবে বলেই দুর্বারের আইনজীবী জানান।